
আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: কট্টর হিন্দু নেতা তপন ঘোষকে ফোনে হুমকি। তিনি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ তৈরি করছেন, এই বলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তপন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন হুমকি ফোন করা হয়েছিল অসম থেকে। তারা তাঁর কার্যকলাপকে ভালো চোখে দেখছে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তপন ঘোষ হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা। এই কট্টর হিন্দু নেতা বরাবরই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন। বর্তমানে দিল্লিতে যে ঘটনা চলছে তার বিরুদ্ধেও তিনি সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নরেন্দ্র মোদীর পুরো পরিকল্পনাকে বানচাল করে দেওয়ার। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বের সামনে ভারতের উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরার জন্য নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেওয়া। তপনবাবু মনে করেন দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে তাদের সেই উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ”মোদীজি এখন কি করবেন? তিনি অহিংসবাদী গান্ধীজির নীতি অবলম্বন করবেন, নাকি বৈজ্ঞানিক নিউটনের তৃতীয় সূত্র– প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া? এছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, দিল্লিতে হিংসা হলেও তাদের লক্ষ্য পূর্ব ভারতে। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে বলে তিনি জানান। সেই ফোনে তাঁকে বলা হয়েছে, তিনি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ তৈরি করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যা লিখছেন তা ভালো করছেন না। তারা এটাকে ভালো চোখে দেখছে না। তপনবাবু জানান, তিনি নিজেই ফোনটি কেটে দেন।
ছবি: এই নম্বর থেকে ফোন এসেছিল।
তপন বাবু জানান, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই নম্বর দিয়ে ইন্টারনেট সার্চ করে জানা গেছে, এই নম্বরটি অসমের মিশন তইবা নামে একটি সংগঠনের। এরা জেহাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বক্তব্য, দিল্লিতে যা কিছু ঘটছে সেরকম শক্তি পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে ছড়িয়ে আছে। তারা বিভিন্ন রূপে কাজ করছে। নিজেদের জেহাদী পরিচয় গোপন রাখছে, আর তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনকে সরবরাহ করছে। তবে তিনি এই হুমকি ফোনে বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি যেমন ভাবে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন সেভাবেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।