রাজেন রায়, কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার চূড়ান্ত ট্রায়াল’। এই ট্রায়াল’ সফল হলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে অতিমারী করোনার ভ্যাকসিন পেতে শুরু করবেন মানুষ। আগের তুলনায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই আটকাতে পেয়েছে করোনাকে। কিন্তু শেষ লগ্নে এসেও এখনো মাঝে মাঝেই স্ফুলিঙ্গের মতো নিজের দাপট দেখিয়ে কাঁপন ধরাচ্ছে করোনা।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের চিকিৎসক মহলের কাছে ছিল আরও এক অত্যন্ত শোকের দিন। একই দিনে রাজ্যের তিন বিশিষ্ট চিকিৎসকের প্রাণ কাড়ল নভেল করোনা ভাইরাস। একদিকে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে জীবন অবসান হল রাজ্যের চিকিৎসক ছাত্রদের অত্যন্ত প্রিয় তথা উত্তর ২৪ পরগণার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষা চিকিৎসক হাসি দাশগুপ্তের। দু’ দিন আগে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা ধরা পড়ে তাঁর৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালে সুপার এবং অ্যানাটমি বিভাগের প্রধানের পদ দীর্ঘদিন তিনি সামলেছেন তিনি।
অন্যদিকে নদিয়ার কল্যাণীর বিশিষ্ট কার্ডিওথেরাপিস্ট সার্জেন রমেন হাজরা কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হওযার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও আবার শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। ফের তাঁকে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট ইএনটি সার্জেন মৃণালকান্তি আচার্য নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাক্তনী মৃনালকান্তি আচার্যেরও বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন তিনি৷ একসঙ্গে তিন চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম, ডক্টরস ফর পেশেন্টস বা ডোপা, অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন।