আমাদের ভারত, ১১ মে:হরিয়ানা- দিল্লি সীমান্তে টিকরিতে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় হরিয়ানার পুলিশ দাবি করেছিল ওই ২৫ বছরের তরুণীকে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব হরিয়ানা পুলিশের এই দাবিকে অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়া ওই তরুণী ১১ এপ্রিল ধর্ষণের ঘটনার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তার মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে হরিয়ানার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ এপ্রিল সেখানে তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে ওই তরুণীর বাবা তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার বলে অভিযোগ। দায়ের করেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সে তার বাবাকে নিজের সাথে হওয়া হেনস্থার কথা জানিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রবিবার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বাহাদুরগড় নগর পুলিশের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এই দল গঠিত হয়েছে। তরুনীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দু’দফায় ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রে খবর অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি কিষাণ সোশ্যাল আর্মি নামে একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত। জানা গেছে এই ঘটনার পর টিকরি সীমান্তে চারদিন আগে কিশান সোশ্যাল আর্মির তাঁবু ও ব্যানার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের নেতা যোগেন্দ্র যাদব হারিয়ানা পুলিশের দাবি খারিজ করে জানিয়েছেন, ঘটনা সম্পর্কে টিকরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষক নেতারা কিছুই জানতেন না।