
গোপাল রায়, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ৭ মার্চ: আরামবাগে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হতেই ফের যুব এবং মাদারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত হল তিনজন। আহত ব্যক্তিরদের নাম আহতদের নাম বৈশাখী মালিক, অবিনাশ মালিক ও দীপঙ্কর মালিক। বৈশাখী মালিক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।
তাঁরা আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের আরান্ডি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে যায় আরামবাগ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
মারধোর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের মাদার কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন যুব গোষ্ঠীর লোকজন। ঘটনার সূত্রপাত, গতকাল রাতে ঝড় বৃষ্টিতে ইলেকট্রিক পোল এর তার ছিঁড়ে পড়ে যায় ওই এলাকায়। তারে বিদ্যুৎ থাকায় তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন মিলে ট্রান্সফর্মারে গ্যাং নামিয়ে দেয়। ফলে এলাকায় লোডশেডিং হয়ে যায়। ওই সময় তৃণমূলের মাদার গোষ্ঠীর লোকজন ট্রান্সফর্মারে তালা ঝুলিয়ে দেয। এরপর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষই বাঁশ, রড দিয়ে মারধর করে। এই সংঘর্ষের জেরে আহত হয় তিনজন।
আহত তিনজনের মধ্যে আড়ান্ডি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্য রয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে তাদের ভর্তি করা হয়।
রাজপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের যুব ও মাদার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ সকলেরই জানা। মাঝেমধ্যেই গুলি বোমাও চলে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে আতঙ্কে স্থানীয় মানুষ। আরামবাগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কমল কুশারী জানান, আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। যেটা হয়েছে তাতে তৃণমূল কোনও ভাবে যুক্ত নেই। এটি দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল। অন্যদিকে, তৃণমূলের হুগলি জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই, তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি আমাদের দলের কোনও সমস্যা থাকে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে।