আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৩ মে: রেশনকার্ড নিয়ে এবার তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভাঙড়ে। আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠী ও ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ মিজানুর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের পোলেরহাট বাজার এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উভয় পক্ষের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের পোলেরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নওয়াবাদ গ্রামের প্রাক্তন সুপারভাইজার জামির আলী মোল্লার কাছ থেকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় সাড়ে চারশো রেশন কার্ড উদ্বার হয়। যা নিয়েই এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের পোলেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেসের পোলেরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মিজানুর আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকার সাধারণ মানুষের রেশন কার্ড সঠিকভাবে বিলি হয়নি। এই অভিযোগ তুলেছেন আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর কামরুল হাসান। কামরুল হাসান পোলেরহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। তার অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে রেশনকার্ড না দিয়ে মিজানুর আলমের মদতে জামির আলী মোল্লা বাড়িতে রেশনকার্ড, জবকার্ড গচ্ছিত রেখেছিল। কার্ড উদ্ধার করার পর তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
অপর দিকে মিজানুর আলমের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে তার অনুগামীদের। আরাবুল অনুগামী কামরুল, লোকমানের নেতৃত্বে এই মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত জামির আলী মোল্লা পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাকে মিজানুর ও তার অনুগামী সফিয়ার এই রেশনকার্ড বিলি করতে
দেয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ। এর পাশাপাশি ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেও ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।