আমাদের ভারত, নন্দীগ্রাম, ১৫ সেপ্টেম্বর: দলীয় নির্দেশ অমান্য করে দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া প্রধানকেই ফের প্রধান নির্বাচিত করল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। আর এই প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
আমফান ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেওয়া। এমনকি ক্ষতিপূরণের তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগে গত ৭ জুলাই নন্দীগ্রামের কেন্দ্যামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনসুরা বিবিকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তাকে প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর ৩রা আগস্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্বভার সানোয়ার আলি শাহকে দেওয়ার অনুষ্ঠানে নাম করে আগের প্রধানের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কাণ্ডারি আবু তাহের। এই প্রেক্ষাপটে আজ সেই কেন্দ্যামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল প্রধান নির্বাচন। দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত হয় সাকিনা খাতুনকে প্রধান নির্বাচিত করা হবে। কিন্তু কয়েকদিন আগে ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে তিনি প্রধান হতে চাননি। আজকেও প্রধান নির্বাচনের সভায় তিনি একই দাবি করেন। ফলে সর্ব সম্মতিক্রমে ১৫ আসন বিশিষ্ট কেন্দ্যামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে পুনরায় মনসুরা বিবি মনোনিত হন। আর নন্দীগ্রামের বুকে শাসক দলের এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, দলীয় হুইপ অমান্য করে মনসুরা বিবি পুনরায় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে তৃণমূল নন্দীগ্রামে যে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামকে দুর্নীতিমুক্ত করার স্পর্ধা তৃণমূল দেখাতে পারবেন না।