বার বার দলত্যাগী তৃণমূল নেতার কর্মকান্ডে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কুমারগঞ্জে

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৯ মার্চ: বার বার দলত্যাগী নেতার কর্মকান্ডে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া কুমারগঞ্জে। এক যোগে নালিশ চেয়ারম্যানকে। ব্লকের কাজে নাক না গলানোর হুঁশিয়ারি অঞ্চল সভাপতির। তৃণমূল ছেড়ে একাধিক দল পরিবর্তনের পর পুনরায় শাসক শিবিরে ফিরে আসা ওই জেলা নেতাকে ঘিরে তুমুল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছায়া ঘাস ফুল শিবিরে। এই অভিযোগ জেলা সম্পাদক বিপ্লব মন্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি।

রামকৃষ্ণপুরের অঞ্চল সভাপতি আনিসুর রহমান সরকার নামে ওই অঞ্চল সভাপতির এমন প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়কও। আর যাকে ঘিরেই ওই বিধানসভায় একপ্রকার প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।

কুমারগঞ্জ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বদের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব মন্ডল নামে জেলা তৃণমূলের ওই নেতা প্রথমে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এবং তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন। তারপর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি এবং বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার পরেও ওই নেতার গুরুত্ব বাড়িয়ে জেলা সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতাকেই কাজে লাগিয়ে ব্লকের বিভিন্ন কাজ কর্মে বাঁধা দিচ্ছেন বিপ্লব মন্ডল, বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তথা চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় রামকৃষ্ণপুর অঞ্চল সভাপতি আনিসুর রহমান সরকার।

অভিযোগ মানুষের সমস্যা সমাধানের কাজ করতে গেলেই বাঁধা দিচ্ছেন ওই নেতা। এছাড়াও যারা বিজেপির হয়ে কাজ করে এলাকায় তৃণমূলকে হারিয়েছে তাঁদের দলে টানা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রুপবাজির চেষ্টা চলছে কুমারগঞ্জে। এমন ঘটনায় নিচু তলার সকল নেতাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কুমারগঞ্জে। বুধবার এমন সব ঘটনা সামাল দিতে দলীয় কার্যালয়েই একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানেই অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্যরা জেলা নেতা বিপ্লব মন্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়েছেন ।

আনিসুর রহমান সরকার জানিয়েছেন, জেলা নেতা হিসাবে তাকে তারা সন্মান জানান। ব্লকের কাজে তিনি যাতে নাক না গলান তার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃখের দিনে যে পাশে থাকে না, অন্য দলে চলে যায় তাঁকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয় কি জন্য তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অঞ্চল সভাপতি।
যদিও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি কুমারগঞ্জের বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান তোরাব হোসেন মন্ডল।

একই ভাবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছেন বিপ্লব মন্ডলও। তিনি বলেন, তেমন কিছু বিষয় নয়, থানার একটি ছোট ঝামেলা থেকে মতপার্থক্য তৈরী হয়েছিল মাত্র।
প্রাক্তন বিধায়ক মাহমুদা বেগম অবশ্য অঞ্চল সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, এক জন আছে যে সব দল করে তৃণমূলে ফিরেছে। স্থানীয় নেতাদের কাজ করতে দিতে হবে। যারা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে তাঁদের বেশী গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *