বাগাদায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীর আপত্তিকর পোস্ট। ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পৌলমী বিশ্বাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, ওই নেতার বিরুদ্ধে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার পর বাগদার যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শুভেন্দু মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডহরপ্রথা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পৌলমীকে উতক্ত করে। মাঝমধ্যে ফোন করে কু-প্রস্তাব দেয়। রাস্তায় দেখা হলে অশ্লীল ভাষায় কুটক্তি করে। এমনকি তাঁর কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে বিয়ে হতে দেবে না বলে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পৌলমী কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে মৌখিক জানায়। তাতে শুভেন্দুর অত্যাচার আরও বেরে যায়। সম্প্রতি ছাত্রীর বাড়ি এসে খুন করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শনিবার বিকেলে পৌলমীর এক বান্ধবির বাড়ি বেড়াতে গেলে। খবর পেয়ে তৃণমূল নেতা ও তাঁর স্ত্রী সেই বাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে বের করে প্রথমে চুলের মুঠি ধরে কিল, ঘুসি মারে। পরে রাস্তায় ফেলে বেটে বুকে লাথি মারে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারদের সাহায্যে মারধরের হাত থেকে রেহায় পায়। এরপর শুভেন্দুর নামে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ করে পৌলমী। অভিযোগ পাওয়ার পর বাগদা থানার পুলিশ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে। 

রানাঘাট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম মন্ডল বলেন, শুভেন্দু মন্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের অনুগামী। শুভেন্দু বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেবার জন্য ওই যুবতীকে ফোন করেছিলেন গোপা রায়। এবং শুভেন্দুকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য তৎবির করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সমস্ত অভিযোগ ভুল বার্তা বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়। বাগদা পূর্ব চক্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সাহা জানান, এদিন ওই ছাত্রী আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। আইন আইনের পথে চলবে। ধৃত তৃণমূল নেতাকে রবিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *