সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি: পুরুলিয়ার বরাবাজার পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন। আজ পুরুলিয়া শহরের দুলমী এলাকায় অবস্থিত বিজেপির কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দল ত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও মোর্চার রাজ্য নেতা সুভাষ মাহাতো। বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে প্রধান আনন্দ সিং সর্দার ও উপ প্রধান তুষার কান্তি জেঠি জানান, তাঁরা কাজ করতে গিয়ে বাধা পাচ্ছিলেন। উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বিজেপিতে যোগ দেন।
বরাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতটি বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। দল বদলের ঘটনার পর ১১ আসন বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েতে বর্তমানে ৬ জন তৃণমূল ও ৫ টি বিজেপির সদস্য রয়েছেন। প্রধান ও উপ প্রধান বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় অঙ্কের দিক থেকে তৃণমূল সামান্য এগিয়ে থাকলেও যথেষ্ট চাপে রয়েছে তারা। কারণ, প্রধানের আসনটি তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। বর্তমানে তৃণমূলের আরও কোনও সদস্য তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের নন। কাজেই নিজের দলের প্রধান ছাড়াই বোর্ড গড়তে হবে তৃণমূলকে। সামনেই
বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তার আগে বিজেপির এই চমক যথেষ্টই অস্বস্তি ও সমস্যায় ফেলবে শাসক তৃণমূলকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজকের এই দল ত্যাগের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ওই পঞ্চায়েতে একটা মনোমালিন্য চলছিল। তবে কী কারণে প্রধান উপ প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন তা স্থানীয় স্তরে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
স্থানীয় তৃণমূল যুব ব্লক সভাপতি চন্দন সিং মল্ল জানান, “দল বিরোধী কাজের জন্য উপ প্রধানকে আগেই বহিষ্কার করা হয়। অনৈতিক কাজ করতে বাধা পেয়ে বিজেপিতে গেলেন তিনি। আর তাঁর সঙ্গী হলেন প্রধান। কোনও অবস্থাতেই এঁদের আর ওই আসন পেতে দেব না আমরা। প্রয়োজনে প্রশাসক পঞ্চায়েত চালাবেন। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছি আজ থেকেই।”
প্রধান, উপ প্রধান দলে এলেও বোর্ড তৃণমূলের হাতে রয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের বোর্ড বলে কিছু থাকবে না। সবই জনগণের হয়ে যাবে।”