আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৫ ডিসেম্বর: উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সেখানে শুভেন্দু অনুগামীদের একাধিক জায়গায় ফ্লেক্স ও ব্যানার, অন্যদিকে হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভাস্থলে ঢোকার মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের ছবিতে ছয়লাপ হওয়ায় জমে উঠেছে দ্বিপক্ষীয় বাংলার রাজনীতি।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে কর্মিসভা সেরেছেন কলেজপাড়ার একটি মাঠে। সেই সভার পর পৌঁছেছেন কোচবিহারে। সেখানে কর্মিসভা ছাড়াও বেশকিছু সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু তার আগেই শহরের সাগরদিঘি বাসস্ট্যান্ড ও কেশররোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে টাঙানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স ও ব্যানার। সেইসব ফ্লেক্স ও ব্যানারে লেখা রয়েছে দাদার অনুগামী এবং বাংলার মুক্তি সূর্য। ঠিক একইভাবে গত সপ্তাহে মেদিনীপুর শহরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে শহরজুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিসহ পোস্টার পড়েছিল। সেগুলিতে লেখা ছিল মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। এরপর উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়তে থাকে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে আমরা দাদার অনুগামী লেখা ফ্লেক্স ও পোস্টার। এভাবেই পোস্টার পাল্টা পোস্টারের রাজনীতি শুরু হয়। আজ হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও হলদিয়া বন্দরের জনক সতীশ সামন্তর ১২১তম জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সভাস্থলের কাছে আগেভাগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো পোস্টার দেখা যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এর আগেও তৃণমূলের একাধিক অনুষ্ঠানের আশেপাশে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার ও হোডিং লাগিয়েছে দাদার অনুগামীরা। শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয় যেদিন থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁকে বসেছেন সেদিন থেকে তার ভক্তরাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গোপালনগরে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে রাজীবের নামের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল আশপাশের এলাকা।