“বহিরাগতদের ঢুকিয়ে রাজ্যে অশান্তি পাকাচ্ছে বিজেপি” নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিলের আগে তোপ মমতার

আমাদের ভারত,১৬ ডিসেম্বর:বহিরাগতদের ঢুকিয়ে বিজেপি রাজ্যে অশান্তি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। সিএএ বি রোধে পদযাত্রা শুরুতেই এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আবারো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন তিনি। জোড়ালো ভাষায় স্পষ্ট করে দেন কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা নাগরিক আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চূড়ান্ত অশান্তি ছড়িয়েছে। আজ চতুর্থ দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করছেন বিক্ষোভকারীরা। কোথাও সড়ক অবরোধ তো কোথাও রেল অবরোধ। বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ তথা নিত্যযাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে নাগরিক আইনের প্রতিবাদে পদযাত্রা শুরু করেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধর্মতলায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল। এই মিছিল জহরলাল নেহেরু রোড, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ হয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত হয়। সংবিধান রক্ষা ও ধর্মীয় ঐক্য এই দুই বিষয়ের দুই প্রতিনিধিকে মেলাতেই পদযাত্রার প্রথমদিনের স্থল বাছাই করা হয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

বেলা একটা নাগাদ আম্বেদকর এর মূর্তির পাদদেশে থেকে শুরু হয় মিছিল। ভারতবর্ষের সংবিধানের স্রষ্টার মূর্তিতে মাল্যদান করে এবং সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুরু হয় পদযাত্রা।

মিছিল শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট হুঁশিয়ারি’ এবং বার্তা দেন, কোন রকমের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা সর্বদাই শান্তির পক্ষে থাকবো। এটাই আমাদের স্লোগান । এই স্লোগানকে সামনে রেখেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে আমরা আন্দোলনে শামিল হবো।

নাগরিক আইন প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবেই করা হোক মিছিলের অংশগ্রহণকারী সবাইকে এমনিই শপথ বাক্য পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সবাইকে বলতে বলেন,”আজকের শপথ আমরা সবাই নাগরিক। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকবো। বাংলায় এনআরসি ও সিএএ করতে দেব না দিচ্ছি না। আমরা শান্তিতে থাকবো।”

এরপরই তিনি বিজেপির দিকে নিশানা দেগে বলেন, বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই সাবধান নজর রাখবেন কেউ যেন বাইরে থেকে মিছিলে এসে গন্ডগোল না পাকায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন এখানে সিসিটিভি রয়েছে কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে দল ও সরকার কেউই তা বরদাস্ত করবে না। দলের নেতৃত্ব দেন তিনি নির্দেশ দেন সকলে আমার সঙ্গে হাঁটবেন না। আমি মিছিলের একদম শুরুতে থাকবো। তৃণমূলের নেতারা মিছিলের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধানে হাঁটবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *