আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ ডিসেম্বর: টিএমসিপি ও এবিভিপি দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কম পক্ষে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী জখম হয়েছে।
গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা কাদের হাতে থাকবে, তাই নিয়ে মূলত এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এদিন দুপুরে কলেজ চত্বরে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করা হয়। একাধিক গাড়ি, ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। কলেজের দরজার কাচ, পাখা, কলেজের ঘরের জিনিষপত্র ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই দলের একাধিক সমর্থক আহত হয়েছে।
অগ্নিগর্ভ কলেজের ভিতরের পরিস্থিতি, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে এবিভিপির দুই ছাত্রকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা মারধর করেছিল বলে অভিযোগ, এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কলেজে প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে আসে এবিভিপির সদস্যরা। তখনই দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। জখম হয় উভয় পক্ষের অন্তত কুড়িজন। ভাঙ্গচুর করা হয় দু’পক্ষের অন্তত ১৭ টি বাইক। কলেজের সামনে একটি দোকানেও হামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ছাত্র সংসদ’ এর অফিস ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় এবিভিপির সমর্থকরা। ঘটনা সামাল দিতে হাবড়া থানা ও গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। এই ঘটনার জেরে কলেজ চত্বরে টিএমসিপি অভিযুক্ত এবিভিপি ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে কলেজ চত্বরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।