রাজেন রায়, কলকাতা, ৮ আগস্ট: রাজ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা হাসপাতালের শয্যার মত সেফ হোম পেতেও সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। অনেক ক্ষেত্রেই নিজস্ব এলাকার বাইরে অনেক দূরে দূরে এই সেফ হোমগুলি অবস্থানের ফলে অনেককেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সেই কারণে এবার প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিল, রাজ্যের প্রত্যেকটি থানা এবং পুর এলাকায় গড়ে তোলা হবে আলাদা আলাদা সেফ হোম। প্রতিটি সেফ হোমে থাকবে ১০০ থেকে ২০০টি শয্যা নিয়ে। একমাত্র সেটা হলেই সংক্রমণ কমানো সম্ভব।
প্রসঙ্গত, রাজ্য করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই মৃদু উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন। এদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন না হলেও বাড়ির সমস্যা থাকায় এবং সংক্রমণের আশঙ্কা এদেরকে আগেই সেফ হোমে রাখার কথা ঘোষণা করেছিল নবান্ন। এখান থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, আবার অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও চলে যান। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১০০ টির বেশি সেফ হোম রয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে এই মৃদু উপসর্গ যুক্ত এবং উপসর্গহীনদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় এই সুবিধা সংখ্যক সেফ হোমে কাজ হবে না, তা ভালই বুঝতে পারছে রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণে প্রত্যেকটি থানা এবং পুরো এলাকায় সেফ হোম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানা এবং পুরসভা গুলিকে নবান্নের তরফে এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
নতুন করে তৈরি হওয়া সেফ হোম গুলির জন্য যথাযথ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের উপযোগিতা থাকবে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার তরফের শহর জুড়ে বেশ কিছু সেফ হোম তৈরি হয়েছে। রাজ্য সংক্রমনের হার যে পরিমাণে বাড়ছে সেই দিকে নজর দিয়েই সেফ হোম বাড়াতে চাইছে রাজ্য।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কারোর সামান্য উপসর্গ থাকলে তাদেরকে হাসপাতালে না রাখলেও চলে। তাদের একটু পর্যবেক্ষণ ও ওষুধ দিলেই দ্রুত সেরে ওঠেন সে সমস্ত ব্যক্তিরা। সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত মৃদু উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে রাখা হলে যাদের বেশি সমস্যা তাদের তখন হাসপাতালে রাখার জন্য অনেক সময় বেড কম পড়ে। তাই এ ধরনের মৃদু উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সেফ হোম সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। সেই মতই এবার বিভিন্ন থানা ও পুর এলাকায় আরও সেফ হোমের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার।