“আজ একজোট হওয়ার দিন“— পশ্চিমবঙ্গ দিবসে বার্তা অগ্নিমিত্রা পালের

আমাদের ভারত, ২০ জুন: পশ্চিমবঙ্গ দিবসে বার্তা দিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সোমবার তিনি টুইটারে লিখেছেন, “আজকে যখন পশ্চিমবঙ্গের দখল চলে যাচ্ছে ভারত-বিরোধী মৌলবাদীদের হাতে, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের অপপ্রচেষ্টা চলছে, ইচ্ছেমতন তিনদিন ধরে রাজ্য জুড়ে ট্রেন, বাস, রেল স্টেশনে আগুন লাগানো হচ্ছে, তখন কবে ও কেন পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল তা স্মরণ করা একান্তই জরুরি।

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ গড়েছিলেন বলেই আজও বাঙ্গালী হিন্দু তাঁর ধর্ম ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এভাবে চললে আর কতদিন?

আমরা বারবার দেখছি রাজ্যে একের পর এক হিংসা হচ্ছে। রাজ্য সরকার সব দেখেও চুপ। জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাড়ছে। রাজ্য হয়ে উঠছে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়। সক্রিয় জেএমবি, আলকায়েদা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামেও সক্রিয় ছিল মৌলবাদীরা। রাজ্যে চলেছিল তাণ্ডব। সরকার চুপ আছে ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে, কিন্তু আমরা চুপ থাকতে পারি না।

শ্যামাপ্রসাদের পশ্চিমবঙ্গকে আমরা ধ্বংস করতে দেব না। সেজন্যই আজ পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার তাগিদে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বোঝা ও দিকে দিকে ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন এর যৌক্তিকতা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্য রাজ্যের পার্থক্য হল যে অন্য রাজ্যে সমস্যা সমাধানে কিছু দেরী হলেও চলবে, পশ্চিমবঙ্গে তা হবে না। এখানে প্রতিটি দিন আমরা পশ্চিম বাংলাদেশ হবার দিকে এগিয়ে চলেছি।

আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা নেই যে ভারতে অবস্থিত প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যেরই একটি করে রাজ্য দিবস আছে। অথচ সাম্প্রদায়িক বিভক্তি, রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে বাঙালী হিন্দু জাতির জন্য নির্মিত, ঐতিহাসিক ভাবে সত্য পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে কেউ উৎসাহ প্রদৰ্শন করেননি।

পয়লা মে পালিত হয় মহারাষ্ট্রে “মহারাষ্ট্র দিবস” হিসেবে, ১ লা নভেম্বর কর্ণাটক দিবস ও ৩০ শে মার্চ রাজস্থান দিবস পালিত হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই এতো বিড়ম্বনা কেন? সমস্যা হল রাজনীতির সেই ব্যবসাদারদের, যাদের দেশপ্রেম, স্বজাতিপ্রীতি ও চেতনা বিক্রি হয়ে গেছে। তাঁরাই এই ক্ষেত্রে বৃহত্তম প্রতিবন্ধকতা। পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল দেশভাগের সময়, বিশেষত জাতীয় স্বাধীনতা প্রাপ্তির আগে, অন্যান্য রাজ্যগুলির অধিকাংশের জন্ম হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একক সিদ্ধান্তের জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্ট হয়েছিল এই ভূখণ্ডের হিন্দু জনসাধারণের ঐকান্তিক ইচ্ছায়, বিশিষ্ট হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের নেতৃত্বে ও রাজ্যবাসীর নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের বঙ্গীয় আইনসভায় সম্মিলিত ভোটদানের মাধ্যমে। তাই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন এক ঐতিহাসিক ও আবশ্যিক কর্তব্য।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *