দিনহাটায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের ভারত, কোচবিহার, ২৬ অক্টোবর: দিনহাটা উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, এই অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেন, এলাকার মানুষের মন থেকে ভয় দূর করে করতে এবং তারা যাতে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা।

আজ সকালে দিনহাটার উপনির্বাচনের প্রচারে কোচবিহারে এসে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপি কর্মীরা।

সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দিনহাটায় সেভাবে প্রচার করছে না। এর উত্তর সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিনহাটায় ভয়ের পরিবেশ কায়েম করা হয়েছে। ভোটের পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার হয়েছে। যাঁর নেতৃত্বে এই অত্যাচার হয়েছে তিনি এখন তৃণমূলের প্রার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের পর যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তার জন্য হয়তো আমাদের কোনো কোনো কর্মী সামনে আসছেন না, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস যদি শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন হয় এবং বুথের পাশে যদি তৃণমূলের লোকজন দাঁড়িয়ে না থাকে তাহলে বিজেপিই জিতবে।

সাংবাদিকরা পাল্টা জিজ্ঞেস করেন তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, বিজেপি বুথ এজেন্ট দিতে পারবে না। তার উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, আসলে তিনি চেষ্টা করছেন যাতে আমরা এজেন্ট দিতে না পারি। এটা কোনও কৃতিত্ব নয়। গণতন্ত্রের লড়াই হয় সমানে সমানে, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপি শাসিত রাজ্যের কথা তুলে ধরেন বলেন, তৃণমূল নেতাদের বলব গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ দেখে আসুন সেখানে বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারে না এরকম কিছু দেখাতে পারবেন না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দাবি, মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা। গোয়াতে তৃণমূলের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সেখানে প্রধান বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস। যদি কেউ ফ্লেক্স ছেড়ে তা হলে কংগ্রেসের ছিঁড়বে, তৃণমূলের নয়। তৃণমূল কংগ্রেসতো সেখানে নস্যি। তাকে কেউ চেনে না। মা-মাটি-মানুষকে গোয়ানিজ ভাষায় কি বলে তা কেউ জানে না। যখন তৃণমূল নেতারা মা মাটি মানুষ বলবে তখন তো সেখানকার মানুষ কিছু বুঝতে না পেরে তাকিয়ে থাকবে। আসলে এসব তৃণমূলের মিথ্যা প্রচার, তারা প্রচার পাওয়ার জন্য এসব কথা বলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *