আমাদের ভারত, আরামবাগ, ১৮ আগস্ট: খানাকুলে বিজেপি কর্মী খুনের দায় তাদের দলের ওপরেই চাপিয়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। মঙ্গলবার, আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে এলাকা পরিদর্শন করে একটি মিছিল করা হয়। সেখানে বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনাটিকে পরিকল্পিত আখ্যা দেন তিনি। তাঁর দাবি বিজেপি পরিকল্পনা করে খুন করেছে তাদের কর্মীকে, যাতে তৃণমূলকে দায়ী করা যায়। এই ঘটনাকে নোংরা রাজনীতি আখ্যা দিয়ে দিলীপ বাবু বলেন, নিজেদের কর্মীকে খুন করে তৃণমূলের শহিদ বেদি ভেঙ্গেছে বিজেপির লোকজন। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। খানাকুলে একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার একাধিক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার চক্রান্ত করেছিল বিজেপি।
দিলীপ যাদবের বিস্ফোরক অভিযোগ, ঘটনার দিন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো নিজের এলাকা ছেড়ে আরামবাগে কি করছিলেন। তিনি আগে থেকেই জানতেন কিছু ঘটতে চলেছে এমনটাই ইঙ্গিত করেন তিনি। একই সাথে তাঁর অভিযোগ, সৌমিত্র খাঁ’ও কিছুক্ষণের মধ্যেই আরামবাগে চলে এলেন। এটা কি কাকতালীয়? প্রশ্ন জেলা সভাপতির। বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার পর এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে গেরুয়া বাহিনী এমনটাই অভিযোগ তাঁর। খানাকুলের একাধিক দোকানে ভাঙ্গচুর ও অবাধ লুটপাট চালানো হয়। দিলীপ যাদবের সাথেই এদিন খানাকুলে আসেন যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে কোনও মৃত্যুই খুব দুঃখজনক। তবে এই খুনের রাজনীতি বিজেপি করে। তারা নিজেদের কর্মীকে খুন করে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। এলাকার মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে, লুটপাট করে ক্ষমতা দখল করা যায় না বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন খানাকুলে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় আহত তৃণমূল কর্মীদের এদিন হাসপাতালে দেখতে যান তাঁরা। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে খানাকুলে ঢুকতে হয়। এলাকা এখনো থমথমে থাকায় খানাকুলের একাধিক জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।