নিজস্ব প্রতিনিধি, আমাদের ভারত, কোচবিহার, ৮ সেপ্টেম্বর: নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দেওচড়াইয়ের অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। আজ দেওচড়াই অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফারুক মন্ডলকে সরিয়ে মুজিবুর রহমানকে অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এরপরই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অঞ্চল সভাপতি ফারুক মন্ডল। তাঁর দাবি তাঁকে বিধায়ক তথা মন্ত্রী সরাতে পারেন না। একই দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর সাথে কথা বলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্কলহ ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
দেওচড়াই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ফারুক মন্ডল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী বলেই পরিচিত ছিল। লোকসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকলেও, দেওচড়াই অঞ্চলে সাত হাজারের বেশি ভোটে লিড ছিল তৃণমূলের। কিন্তু সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় ফারুক মন্ডলের। আজ দেওচড়াই অঞ্চলে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে গিয়ে সেখানেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছেন, ফারুক মন্ডল অঞ্চল সভাপতি ছিলেন না, এবং দলের কোনও কাজ করছিলেন না।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফারুক মন্ডল। তাঁর দাবি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বয়স হয়েছে তাই তিনি এইসব উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। রবীন্দ্রনাথ বাবুর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফারুক মন্ডল। এই ঘটনায় ফারুক মন্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। তাঁর দাবি অঞ্চল সভাপতি সরানো বিধায়কের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না। একমাত্র জেলা সভাপতি সরাতে পারে। এ বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু।