টেন্ডারের ভাগাভাগি নিয়ে কাজিয়া, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হরিরামপুর

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৬ মার্চ: পঞ্চায়েতের টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হরিরামপুর। সোমবার বিকেলে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের বৈরাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয়েছে পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তলও।

অভিযোগ, এদিন টেন্ডার নিয়েই বিবাদের সুত্রপাত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বনাম অঞ্চল সভাপতির। যে ঘটনা নিয়ে একপক্ষ অপরপক্ষকে মারধর করবার পাশাপাশি পিস্তল দিয়ে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যদিও পরে পুলিশ পিস্তল সহ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি অবশ্য বিষয়টি কড়া হাতে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, হরিরামপুর ব্লকের বৈরাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সোমবার দুপুরে অর্থের মিটিং ডাকা হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে।সেখানে মিটিং শুরু হতেই টেন্ডারের বিষয়টি নিয়ে প্রধান এবং উপপ্রধানের লোকজনদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। উপপ্রধানের গোষ্ঠী ও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির গোষ্ঠী হাজির হয়েছিলেন সেই পঞ্চায়েতের সামনে। এরপরেই অর্থের মিটিং নিয়ে প্রথমে প্রধান ও উপপ্রধানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তারপরে বচসা শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এরপরেই তুমুল মারপিট শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আমিনুল ইসলামের লোকজন বৈরাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল রজ্জাককে মারধর করতে থাকে। অভিযোগ, সেই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে একপক্ষের তরফে পিস্তল ব্যবহার করে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয় লোকজনের বাধায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিরামপুর থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। পুলিশ পৌঁছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি একজনকে আগ্নেয়াস্ত সহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে জেলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, যত গোলমাল পাকাচ্ছে উপপ্রধান আব্দুল রজ্জাক। ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র। পুরো বিষয়টি দলকে জানানো হয়েছে।

বৈরাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং চলছিল, সেখানে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোলমাল পাকালো। বিষয়টি জানানো হয়েছে যথাস্থানে।

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত, উপপ্রধান বেশ কিছু অন্যায় কাজ করেই চলেছে। এলাকার মানুষজন তার প্রতিবাদ করেছে মাত্র। অঞ্চল সভাপতি সব জানিয়েছেন, দল ব্যবস্থা নেবে।

হরিরামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে আটক করা হয়েছে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *