
আমাদের ভারত, ভাঙড়, ৩১ মে: ত্রাণ বিলি করা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই। আর তাতেই এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। আর সেই বোমার আঘাতেই আহত হন ভাঙ্গড় ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি বাদল মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে ভাঙ্গড় থানার ঘটকপুকুর এলাকার গোবিন্দপুরে।
স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। কাল রাতে সেই লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূলের কাইজার আহমেদ গোষ্ঠী ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কর ছিল। সেই সময় বাদল মোল্লা সহ যুব তৃণমূলের একটি দল ওই এলাকাতেই ত্রাণ দেবে বলে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তালিকা বানাচ্ছিলেন। এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বেধে যায়। তারপরেই দুই পক্ষ বোমা নিয়ে লড়াই শুরু করে। তাতেই যুব সভাপতি সহ আহত হন মোট ৭ জন। তাদের স্থানীয় নলমুড়ি প্রাথমিক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে যুব সভাপতি বাদল মোল্লাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। ভাঙড় থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকায় পুলিশী টহল চলে। এদিকে বাইপাসে হাসপাতালে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সওকাত মোল্লা, আরাবুল ইসলামের মত তৃণমূল নেতৃত্ব। শওকত জানান, দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে। তাতেই আহত হয়েছেন যুব সভাপতি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।