
পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মার্চ: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার জলহরি এবং কেঁউদি এলাকায় আজ বুথ স্বশক্তিকরণ অভিযান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর তিনি ৯ নম্বর কাশীজোড়া অঞ্চলে পৌছে গ্রামবাসী ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারির ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি বলবো
পলিটিক্যাল অ্যারেস্ট, এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না। কিছুদিন আগে আপনি মনে করুন, আমাদের কলকাতা উত্তর শহরতলীতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা চিঁড়ে উৎসব করেছিল, সেখানেও ৬-৭জন মানুষ মারা গিয়েছিল, এখানে ৩ জন। সেখানে কে অ্যারেস্ট হয়েছে? দল জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও তার পরিবারের সাথে আছে। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।
সুপর্না মন্ডলের ইডির হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে বলেন,
বাবাও যেতে চাইছিল না দিল্লি, বাবারই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। এরপর জোর করে ধরে নিয়ে যেতে হবে, আর কি হবে!
নৌসাদকে ধাক্কা প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, তৃণমূল সংখ্যালঘুদেরই ধাক্কা দিচ্ছে। এটা শুধু আপনার নওশাদ
সিদ্দিকীকে ধাক্কা না, মুসলিম সম্প্রদায়কে এখন তৃণমূল ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। কারণ কাজের বেলায় কাজি, কাজ ফুরলেই পাজি। এই মন্ত্রে তৃণমূল কংগ্রেস বিশ্বাস করে, কাজ হয়ে গেছে, সংখ্যালঘুদের বোকা বানিয়ে ভোট নেওয়া হয়ে গেছে, সরকার তৈরি হয়ে গেছে। আর দরকার নেই।
অয়ন শীলের বাড়িতে ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলায় জেলায় এমন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট আছে। তারা চাকরি বিক্রি করেছে, সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় খেটেছে, টালিগঞ্জেও খেটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে সব প্রকাশ্যে আসবে। তবে এগুলো সব বোড়ে৷ আসল মাথাগুলো ধরা পড়া চাই।
রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেখুন আমরা যে যাই রাজনীতি করি না কেন, ভারতবর্ষের সম্মান রাখা আমাদের কর্তব্য। আপনি আমি, ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীর মত একজন বরিষ্ঠ নেতার, হাজার হোক তার তো বয়স হয়েছে, ৫০ বছর পার হয়ে গেছে, আমার মনে হয় একটু ম্যাচুরিটি দেখানো উচিত।