সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা,
১৭ সেপ্টেম্বর: চিকিৎসার নামে যুবতীকে জোড় করে জরিয়ে ধরে চুমু। প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার। অভিযোগ, জ্বরে আক্রান্ত যুবতীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ চিকিৎসক তথা গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বনগাঁর গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা।
শনিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ এই খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে বছর ২৪-এর যুবতী থানার দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার। যুবতী ও তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ছেলেবেলা থেকেই ওই যুবতী অভিযুক্ত সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। তিনি তাঁদের পারিবারিক চিকিৎসকও বটে।
যুবতী জানিয়েছেন, জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। সন্ধেয় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময় চেম্বারে কেউ ছিল না। অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। তাঁর আরও দাবি, যুবতী বেরতে গেলে তাঁকে জোর জবরদস্তি করতে থাকেন। ওই যুবতী কোনওভাবে বেরিয়ে এসে বাড়িতে সমস্ত ঘটনার কথা জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করে গ্রামের লোকেরা৷ ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, “অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন ৷ অর্থের জোরে ক্ষমতার জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছে ৷ এবার তার শাস্তি চাই।