জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২৫ মে: ফের সিন্ডিকেট রাজ। দাবি মতো আলোচনায় না বসায় স্কুল নির্মাণে জমি জরিপের কাজ আটকে দিল। অভিযোগের আঙ্গুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর শোরগোল পড়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলজুড়ে। বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিকমহলে। খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
ঘটনায় জানা গেছে, দুর্গাপুরের পলাশডিহাতে প্রায় সাড়ে চার কাঠা জমির ওপর একটি স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন দুর্গাপুরের পলাশডিহার বাসিন্দা চন্দ্রনাথ সামন্ত। চলতি বছর মার্চ মাসে আসানসোল- দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএর) কাছে জমি লিজে পায়। সরকারি ভাবে পাওয়ার পর জমির পজিশন নিতে গিয়েই বিপত্তি। অভিযোগ, জমির পজিশন দিতে গিয়ে স্থানীয় কিছু সিন্ডিকেট বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে আধিকারিকরা। চন্দ্রনাথবাবু জানান, “জমিটি ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি ছিল। সরকারি আমিন মাপের সুবিধার জন্য জঙ্গল সাফাই করতে বলেছিল। সেই মতো সাফাই কাজ করতে যাই। কিন্তু একদল স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত সিন্ডিকেট বাহিনীর ছেলে কাজ আটকে দেয়। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর কাজ শুরু করার হুঁশিয়ারি দেয়। এডিডিএর আধিকারিকরা পর্যন্ত স্তম্ভিত। প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছি। গোটা বিষয়টি এডিডিএ ও পুলিশে জানিয়েছি।” আর প্রশ্ন এখানেই, সরকারিভাবে জমি পাওয়ার পরও বাধা কেন? অভিযোগ, ওই এলাকায় শাসক দলের মদতপুষ্ট সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের ফতোয়া, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সেখানে কোনো কাজ করা যায় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তারপরও সিন্ডিকেট বাড়বাড়ন্ত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কাদের মদতে?
যদিও এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানান, “পালাশডিহায় তিনি আইনগতভাবে জমি পেয়েছেন। কিছু লোক দলের নাম করে বাধা দিয়েছে শুনলাম। এটা অন্যায়। বরদাস্ত করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ আছে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া যাবে না, তোলাবাজি করা যাবে না। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এসব কাজে বাধা দেয়, মুখ্যমন্ত্রীর নাম কালিমালিপ্ত করে, তারা তৃণমূলকে ভালোবাসে না। গারদই তাদের থাকার একমাত্র জায়গা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।”