প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাককে হাজিরার নির্দেশ ত্রিপুরা পুলিশের

আমাদের ভারত, ২৮ জুলাই: ২০২৩-এ ভোট ত্রিপুরায়। রবিবার সেখানে রাজনৈতিক সমীক্ষা করতে গিয়েছিলো প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্য। আগরতলার একটি হোটেলে সেই ২৩ জনকে বন্দি করে রেখেছে ত্রিপুরা সরকার, বলে অভিযোগ সেই সদস্যদের এবং তৃণমূলের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় তৃণমূলের জয় দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা করতে যাওয়া সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ। যদিও ত্রিপুরা পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে তারা রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্কতার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে।

ত্রিপুরা এসপি মানিক দাস জানিয়েছেন, ২৩ জন ব্যক্তিকে তারা আটক করেনি শুধু মাত্র সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যে কোভিড নিয়ম লাগু আছে তাঁর মাঝে বাইরে থেকে আসা এত জন ব্যক্তি শহরে ঘোরাঘুরি করছে সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশের এই তদন্ত।

আইপ্যাকের ২৩ জনের উদ্দেশ্যে পুলিশ চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে, ১ আগস্ট, রবিবার তাদের সকলকে পুলিশের সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে তারা কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও জানানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

সুত্রের খবর, আইপ্যাকের সদস্যদের ছাড়িয়ে আনার জন্য তৃণমূল বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সেই কারণেই মমতার নির্দেশে বুধবার তৃণমূলের ৩ জনের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় গেছে। দলে আছেন ব্রার্ত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের অভিযোগ, আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠক করে তারা আরও জানিয়েছেন যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাঠিয়েছেন। দু-এক দিনের মধ্যেই তিনি স্বয়ং ত্রিপুরায় আসবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এখন অভিষেক রয়েছেন মমতার সঙ্গে দিল্লি সফরে।

২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার বাংলায় জয়লাভের পর মমতার নজর এবার দিল্লির আসন। সেই লক্ষ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নির্বাচনী পরিকল্পনায় রত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর জন্য বিভিন্ন রাজ্যে চলছে আইপ্যাকের সমীক্ষা, ঘন ঘন চলছে বিজেপি বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক। তারই অঙ্গ ছিল এই ত্রিপুরা সমীক্ষা বলে সূত্রের খবর।

আইপ্যাকের পর বৃহস্পতিবার অভিষেকেরও সেখানে যাওয়ার কথা। আগরতলায় একটি পার্টি কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য অভিষেকের ত্রিপুরা যাওয়ার কথা যদিও আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধুমাত্র ত্রিপুরা জয় নয়, ২০২৪ এর নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের প্রভাব আরও বিস্তার করতেই তাকে ত্রিপুরায় পাঠিনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *