আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ১৪ সেপ্টেম্বর: দুই প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লোপাট করেও মিলল না রেহাই। চার মাস বাদে কবর থেকে এক প্রেমিকার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। একই সাথে আরও এক প্রেমিকার কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় দেহ পরিত্যক্ত জমি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকায়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আখতারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার শুটকি হাটের বাসিন্দা মহম্মদ আখতার পেশায় পাইপ মিস্ত্রী। জানাগেছে, গত ৩১ আগস্ট চাঁদমণি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর দেহ মাটিগাড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। মাসখানেক ধরে ওই যুবতী নিখোঁজ ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে মাটিগাড়া থানা ও মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশ মহম্মদ আখতারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করলে পুলিশ জানতে পারে অভিযু্ক্ত নিজে বিবাহিত তা ওই যুবতী জানতে পারায় তাকে মদ খাইয়ে খুন করেছিল। এরপর তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জেরায় আরও চাপ দিতে থাকলে চার মাস আগে একইভাবে আরএক প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লোপাটের কথা স্বীকার করে মহম্মদ আখতার। এরপর তার দেওয়া বয়ান অনুযায়ী সোমবার দুপুরে মাটিগাড়ার কবরস্থানে সেই প্রেমিকার কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ঘটনায় দুই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের তলব করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দুই যুবতীদের মধ্যে এক যুবতী বিবাহিত ছিল। বিবাহিত ওই যুবতী মাটিগাড়ার টুম্বাজোতের বাসিন্দা। আরএক যুবতী মাটিগাড়ার চাঁদমণি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তকে পুলিশ প্রাথমিক জেরা করে জানতে পেরেছে, সে নিজেও বিবাহিত। তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে। বহুদিন ধরেই অভিযুক্তের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব, জোন ১) জয় টুডু বলেন, “ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর ধর্ষণ হয়েছে কি না তা স্পষ্ট জানা যাবে। তবে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”