জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ১৭ ডিসেম্বর:
আবারো মানবিক মুখ দেখলো মেদিনীপুর শহর, জরুরি প্রয়োজনে রক্তদিতে এগিয়ে এলেন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার তুহিন কুমার ঘোষ। করোনা আবহে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং খুব বেশি বড় আকারের রক্তদান শিবির না হওয়ায় কারনে রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকগুলোতে কমবেশি সংকট চলছে। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকও এর ব্যতিক্রম নয়। ফলে মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়ছেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। এমনিভাবেই বৃহস্পতিবারবার সমস্যায় পড়েন মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর শহরের নবীনাবাগ এলাকার বাসিন্দা অনিমেষ দত্তের বাড়ির লোকেরা।
অনিমেষ বাবুর এ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। ব্লাড ব্যাংকে রক্ত না পেয়ে অনিমেষবাবুর নাতি দেবায়ুধ চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগ করেন করেন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্য, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে। সুদীপবাবু তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন তাঁর পূর্ব পরিচিত তরুণ ইঞ্জিনিয়ার তুহিন কুমার ঘোষের সাথে।
কেশপুর ব্লকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত তথা মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তুহিনবাবুর রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। সুদীপবাবুর ফোন পেয়ে তৎক্ষণাৎ রক্তদানে রাজি হয়ে যান তুহিনবাবু। ফোন পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে উপস্থিত হয়ে রক্তদান করেন তুহিনবাবু। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
উল্লেখ্য করোনা আবহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রক্ত দিলেন তুহিনবাবু। রোগীর পরিবারের লোকেরা রক্তদাতা সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া বলেন, সবাই এভাবে এগিয়ে এলে রক্তের সংকট কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব।