আমাদের ভারত, ১০ জুন:শেষ পর্যন্ত সুর নরম করলো টুইটার। কেন্দ্রের পাঠানো চূড়ান্ত নোটিশের পর ডিজিটাল আইন মেনে চলার কথা তারা জানালো। বিধি মেনে নোডাল অফিসার ইতিমধ্যেই তারা নিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। এখন বাকি চিফ কমপ্লায়েন্স আধিকারিক নিয়োগ। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই আধিকারিক নিয়োগ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর বিতর্কিত এবং অপরাধমুলক পোস্ট কিংবা মেসেজের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে নয়া বিধি ঘোষণা করে কেন্দ্র। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ টুইটারকে একাধিক আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে একগুচ্ছ শর্ত দেওয়া হয় যেনো সমস্ত আধিকারিক ভারতের নাগরিক হন। তাছাড়াও তাদের আবশ্যিকভাবে সরাসরি সংস্থার কর্মী হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আধিকারিকদের নাম-ঠিকানা পাঠানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
বাকি সংস্থাগুলি ধীরে ধীরে শর্ত মেনে নিলেও গরিমসি শুরু করে টুইটার। তবে শেষ পর্যন্ত বাকি সংস্থার মত কেন্দ্রের বিধি মেনে নেওয়ার পথে হাঁটল টুইটার। কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তবে জানা গেছে টুইটারে চিঠিতে সন্তুষ্ট নয় সরকার। কারণ আপাতত আংশিক সময়ের জন্য তারা অফিসার নিয়োগ করছে বলে জানা গেছে। শুধু টুইটারই নয় ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপও নাকি মধ্যপন্থা নিয়েছেন। অর্থাৎ পূর্ণসময়ের কর্মী হিসেবে কোনও আধিকারিককে তারা নিয়োগ করেননি। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আইন ১০০% মানতে হবে না হলে সরে আসতে হবে। মাঝামাঝি কিছু হবে না।
জানা গেছে কোনো কোনো সংস্থা আধিকারিক নিয়োগ করলেও তারা ভারতীয় নয়। কেউ কেউ আবার স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছেন। কেন্দ্রের দাবি নয়া বিধির প্রতিটি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে।