দুই সন্তান নীতি না মানলে বঞ্চিত হতে হবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে: বার্তা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

আমাদের ভারত, ২০ জুন: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে এবার থেকে দুই সন্তান নীতি মানতেই হবে। এমনই বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিম্মত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাঁর এই বার্তাকে ঘোষণাকে হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঋণ মুকুব হোক বা সরকারি প্রকল্প, জনসংখ্যা নীতি সংক্রান্ত নিয়ম বিবেচনা করা হবে। তবে চা-বাগানের শ্রমিক এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। ভবিষ্যতে রাজ্য সরকারের সুবিধা সংক্রান্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই জনসংখ্যা নীতি বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরি ও স্থানীয় নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও এই দুই সন্তান নীতি চালু করতে চলেছে অসম সরকার। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি রূপায়ন করব। তবে স্কুল ও কলেজে ভর্তি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির মতো কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই দুই সন্তান নীতি চালু করা যাবে না, কারণ সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই এ সুবিধা পাবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য যদি মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্প চালু হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও বেশ কিছু বাছাই করা প্রকল্পের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা নীতি প্রয়োগ করা হবে।”

গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তার আগে থেকেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি নিয়ে সোচ্চার তিনি। গত ১০ জুন রাজ্যের তিন জেলার উচ্ছেদের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছিলেন। দারিদ্রতা কমাতে এবং ভদ্র পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে ছিলেন তিনি। তার কথায় দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য মুসলিম মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার স্পষ্ট বক্তব্য দারিদ্র্য দূরীকরণের সরকার সব ধরনের চেষ্টা করবে কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে দারিদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *