স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারতের, নদিয়া ২২ জানুয়ারি: আবারো প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ। গুরুতর জখম অবস্থায় উভয়পক্ষের ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণনগরে নকশাল আমলের মতো কালো দিন ফিরিয়ে আনছে তৃণমূল দাবি বিরোধীদের। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার সামর পল্লী এলাকায়।
উল্লেখ্য তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণনগরের জয়ন্ত সাহা এবং কৃষ্ণনগরের তৃণমূল নেতা শিশির কর্মকারের গোষ্ঠী বিবাদ দীর্ঘদিনের। গতকাল রাতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল নেতা শিশির কর্মকার এবং তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুগামীদের মধ্যে হঠাৎ বচসা শুরু হয়। অভিযোগ আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। ঘটনার জেরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশির কর্মকার অনুগামীদের অভিযোগ, তারা ওই রাতে কোনও এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন। আসার সময় জয়ন্ত সাহার অনুগামীরা হঠাৎ তাদের আক্রমণ করে। বন্দুক এবং ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাদের বেধড়ক মারতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে কোনওরকম পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় তারা।
তাদের অভিযোগ যেহেতু তারা শিশির কর্মকারের অধীনে তৃণমূল করে সেই কারণে এই আক্রমণ। যদিও পাল্টা দাবি করেছে জয়ন্ত সাহা অনুগামীরা। তাদের দাবি শিশির কর্মকারের ঘনিষ্ঠরা হঠাৎ মদ্যপ অবস্থায় এসে গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র বের করে হঠাৎ তাদের আক্রমণ করে।
বিজেপির দাবি, তৃণমূল রাজনৈতিক জায়গা দখলের জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছে না। ঘটনার পর উভয় পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা এবং শিশির কর্মকারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।