বর্ষবরণের দিন আলিপুরদুয়ার জেলায় পৃথক দুটি বাইক দুর্ঘটনা, মৃত ৩

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২ জানুয়ারি: পৃথক দুটি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় বছরের প্রথম দিনেই তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে। শুক্রবার ভোরবেলা মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের রাঙালিবাজনার কাছে মৃত্যু হয় অল্পবয়সী দুই যুবকের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতর বালা নদীর ব্রিজের কাছে। যদিও দ্বিতীয় বাইক দুর্ঘটনাটি ঠিক কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোরবেলা বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বাইকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। মৃতদের নাম প্রদীপ ওরাওঁ (২৫) ও নির্মল ওরাওঁ (২০)। দুজনেরই বাড়ি মাদারিহাটের পূর্ব খয়েরবাড়িতে। রাতভর বীরপাড়াতে বর্ষশেষের বিচিত্রা অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিল দুই অল্পবয়সী যুবক। ভোর পাঁচটা নাগাদ মোটরবাইকটি রাঙ্গালিবাজনা চৌপথির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ারে পাঠানো হয়।

পথদুর্ঘটনা হতে পারে এই আশঙ্কায় বছরের শেষ দিনে ও শুক্রবার সকাল থেকেই কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে জেলা পুলিশ। দুই যুবকের মোটরসাইকেল দাড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে গিয়ে ধাক্কা মারায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে নিয়ম মেনে মোটরবাইক চালানো হচ্ছিল কিনা? জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল ব্যানার্জি বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি আমরা। তবে সারা বছর প্রচার অভিযান চলছে। মানুষকে সচেতনভাবে গাড়ি চালাবার আবেদন রাখছি আমরা।”

অন্যদিকে, বছরের প্র‍থম দিনেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পতে মানুষ এবং যানবাহনের ভির ছিল চোখে পড়ার মত।রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়েন্তী যাবার রাস্তায় বালা নদীর ব্রিজের কাছে পঙ্কজ রায়(২১) নামে এক যুবক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে মৃতের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের লাগোয়া কোচবিহার জেলার খোল্টা গ্রামে। জানা গেছে, রাস্তা পার হবার সময় একটি বন্যপ্রানী হঠাৎ স্কুটিটির সামনে চলে আসলে তাকে আচমকাই সজোরে ধাক্কা মারলে রাস্তার ধারে স্কুটি সহ ছিটকে পড়ে যুবকটি। গুরুতর আহত হন যুবক। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন,”দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here