বীরভূমে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ, ধৃত ছয় কিশোর

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১১ জানুয়ারি: দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল সাত আদিবাসী কিশোরের বিরুদ্ধে। পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় ছয় কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। আরও এক কিশোরকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার নারায়ণপুরের উপর রানিগ্রামে।

জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বাদনা পরব। সেই উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলা থেকে দিদির বাড়িতে বেরাতে এসেছিল এক কিশোরী। শনিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী ভাগ্নির সঙ্গে মুদিখানার দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যায়। সে সময় সাত জন কিশোর তাদের মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে মাঠের মধ্যে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তবে বাড়ি ফিরে কিছু বলেনি বলেনি দুই কিশোরী। কিন্তু পরের দিন অনেক বেলা পর্যন্ত মেয়ে ঘুম থেকে উঠছে না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতেই সব প্রকাশ্যে আসে।

কিশোরীর বাবা বিষয়টি প্রথমে গ্রামের মাঝি হারাম মলিন্দ সোরেনকে জানান। তিনি জানিয়ে দেন পরব শেষ হলে সালিশিসভা বসানো হবে। এদিকে মেয়ের এবং শ্যালিকার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় রবিবার সন্ধ্যায় তাদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপরেই রামপুরহাট থানার পুলিশ দুই কিশোরীর জবানবন্দী নেয়। রাতেই গ্রামের ছয় কিশোরকে গ্রেফতার করে। ঝাড়খণ্ড থেকে পরব উপলক্ষে বেরাতে আসা এক কিশোরের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ধৃতদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। চারজন স্কুল পড়ুয়া। একজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সোমবার তাদের সিউড়ি জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেককে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বহরমপুর বোস্টেল স্কুলের হোমে রাখার নির্দেশ দেন। ২৭ তারিখ ফের তাদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আইনজীবী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রজু করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধর্ষিতার পরিবারকে হাজির থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ধৃতদের চারিত্রিক গঠনের খোঁজখবর নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here