
গোপাল রায়, আরামবাগ, ৩০ মার্চ: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তৃণমূলের নেতা সুকুমার মাইতি বাড়িতে ভাঙ্গচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঘটনাটি খানাকুলের কিশোরপুর এলাকায়। ওই একই এলাকায় আজ সকালে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা হামলা চালিয়েছে।
তৃণমূল নেতা সুকুমার মাইতি বলেন, কাল রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী হঠাত করে তাঁকে ডাকতে থাকে। এরপর দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভেতরে বিছানাপত্র ফেলে দেয়। দুটি সাইকেল, গ্যাস সিলিন্ডার ফেলে দেয়। তারপর বাড়ির বারান্দার চাল ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুকুমারবাবু। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল করার জন্য হামলা চালানো হয়েছে।
খানাকুল কিশোরপুর ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অভিজিৎ বাগ জানান, সুকুমার মাইতির বাড়িতে গতকাল রাতে বিজেপির লোকজন বাড়ি ভাঙ্গচুর করে এবং লুটপাট করেছে। আমরা খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশপ্রশাসনকে জানিয়েছি যাতে দোষীরা শাস্তি পায়।
অন্যদিকে কিশোরপুরের ১ অঞ্চলেই আর এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তাকে মারধর করা হয়েছে কিশোরপুরের ডহরকুন্ডু এলাকায়। জানা গেছে, আজ সকালে তিনি ভুটভুটি ভ্যানে করে মালপত্র নিয়ে যান কিশোরপুর এলাকায়। তখন তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তৃণমূল কর্মীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাড়ি ভাঙ্গচুর ও মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আরামবাগের তৃণমূল ব্লক সভাপতি কমল কুশারী হাসপাতালে তৃণমূল কর্মীকে দেখতে যান। তিনি বলেন, বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বেছে বেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙ্গচুর করছে। আমাদের পুলিশ ওপ্রশাসনের ওপর আস্থা আছে। আমরা থানায় জানিয়েছি, এরপর পুলিশ ব্যবস্থা নেবেন।
অন্যদিকে এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন বিজেপি আরামবাগ জেলা সংগঠনের সভাপতি বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, কেউ বিজেপিকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে।এই জঘন্য কাজ বিজেপি নেতা কর্মীরা করতে পারে না।চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। কোন মানুষ যদি বিজেপির জামা গায়ে দিয়ে এই কাজ করে থাকে তাহলে প্রশাসন তার ব্যবস্থা নিক। বিজেপি পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গচুর ও মারধর এই রকম কোন ওঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল মিথ্যা দোষারোপ করছে বিজেপিকে।