তিন দিন ধরে পালিত হচ্ছে উচাহার হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব

আমাদের ভারত, কেশপুর,১ জানুয়ারি:কেশপুর ব্লকের উচাহার হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন ধরে উৎসব শুরু হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। অনুষ্ঠান চলবে নতুন বছরে ২র জানুয়ারি পর্যন্ত। একটি পদযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের উদ্যোগে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় পা মেলান উচাহার সহ পার্শ্ববর্তী থাউর, বসনচক, ধামসাই, ব্রাহ্মণচক, আকন্দি, চাঁদচক, পূর্ব থাউর গ্রামবাসী, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী, অতিথি, শিক্ষক শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ছিল রণপা,ধামসা মাদল । এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীযা মনীষী সাজে পদযাত্রায় অংশ গ্রহণ করে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রা ঘিরে সাধারণ মানুষদের উৎসাহ ছিল নজরকাড়া ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোকন চন্দ্র দাস। সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক পত্রিকা প্রকাশ ও পঞ্চাশটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয় । প্রথমে প্রদীপটি প্রজ্বলন করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক চিরকুমার মাইতি। সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক পত্রিকা প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা বেলদা কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক আব্দুল হাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝেঁতলা শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ প্রসাদ চৌধুরী মহোদয়, গোলাড় সুশীল বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়া মহোদয় । শাঁকপুর বারখানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ দে,কাঞ্চনতলা এস.এন.হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মণ্ডল, আন্দিচক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সেনাপতি, শিক্ষক স্নেহাশিস চৌধুরী, মনোরঞ্জন সাঁতরা। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় জমিদাতার উত্তরাধিকারী আসিরুদ্দিন মল্লিক, জিয়াউদ্দিন মল্লিক, গোলাম মোস্তাফা মল্লিকসহ অন্যান্যরা। এইসব বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতেই মনোজ্ঞ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

আয়োজন নিখুঁত রাখতে প্রধান শিক্ষক খোকন দাস, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি সেখ জুলফিকার হোসেন সহ শিক্ষক শিক্ষিকামণ্ডলী ,উদযাপন সমিতির সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সংগীত-নৃত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিন দিবসীয় এই বিপুল কর্মকাণ্ড সাফল্যের মন্ডিত হবে বলেই সকলের আশা। তবে এক্ষেত্রে উচাহার কেয়ার ফর এভরি ওয়ানের ভূমিকা বিশেষ ভাবে উল্লেখের দাবি রাখে।

বাংলা সংস্কৃতির উদযাপন, বিদ্যাসাগর-গান্ধিজী স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান হচ্ছে এই সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবকে কেন্দ্র করে। এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সঙ্গীত শিল্পী মাতুয়ার মল্লিকের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here