
আমাদের ভারত, হুগলী, ২৫ নভেম্বর: বিষাক্ত পোকার কামড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর বলে। মৃতের নাম সুদীপা নন্দী(৩২)। হুগলীর বৈদ্যবাটির বৈদ্যপাড়া নিশীথ সেন সরণীর বাসিন্দা সিআরপি এফ জওয়ান সুজয় নন্দীর স্ত্রী সুদীপা।
গত ১৩ নভেম্বর কাশ্মীরে কর্মস্থল থেকে সুজয় বাড়ি ফেরেন কার্তিক পুজো উপলক্ষে। সকাল দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরে মা বাবা স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খাওয়া দাওয়া করে তিন বছরের ছেলে স্বস্তিককে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সুজয় শুতে গেলে বাথরুমে স্নান করতে যান সুদীপা। তিনতলার বাথরুমে তার হাতের কবজিতে বিষাক্ত কিছু কামরায়। সঙ্গে সঙ্গে হাত ফুলে নীল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় ডাক্তার না পেয়ে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রক্ত বমি হওয়ায় সেখান থেকে শিশু মঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।শিশু মঙ্গল হাসপাতাল থেকে পিজিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পিজিতে একাধিকবার রক্ত বদল করা হয়। অবশেষে বুধবার দুপুরে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
ঠিক কিসের কামরে বিষক্রিয়া তা স্পস্ট বুঝতে পারেননি চিকিৎসকরা।সুদীপার পরিবারও সঠিক বুঝে উঠতে পারেননি কিসের কামরে এমন মর্মান্তিক পরিণতি। তাই আজ সুদীপার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।এর আগে এরকম কোনো ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। হঠাৎ করে সুদীপার মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বৈদ্যবাটী পৌর এলাকার মানুষের আতঙ্ক কাটাতে আজ দুপুরে হুগলীর স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বৈদ্যবাটীর বাসিন্দা সুদীপা নন্দীর বাড়ি ও এলাকা পরিদর্শনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বৈদ্যবাটী পৌরসভার চেয়্যারম্যান। সুদীপার বাড়িতেও যান। সুদীপাকে পোকা কামরায় সেই বাথরুম পরিদর্শন করে এবং স্বামী সুজয় নন্দীর সাথে কথা বলেন। কোনও পোকার হদিশ না মেলায় এবং মেডিকাল রিপোর হাতে না আসায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোট করার কথা আমাদের জানান।