সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২ জুন: রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের অসহযোগিতায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি তার সাংসদ এলাকার ৬টি জায়গায় শিবির করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সহায়ক সরঞ্জাম প্রদানের আয়োজন করেন। তিনি তার লোকসভা এলাকার দিব্যাঙ্গদের একটি তালিকা চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্ত প্রশাসন তা দিয়েও তাকে সহযোগিতা করেননি।
শুক্রবার এই সহায়ক সরঞ্জাম বিলির জন্য গঙ্গাজলঘাঁটির একটি শিবির থেকে এই অভিযোগ তুললেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ন্যায় ও সশক্তিকরণ মন্ত্রকের সহযোগিতায় এই সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, প্রশাসন তালিকা না দেওয়ায় তিনি উদ্যোগ নিয়ে তার নির্বাচন ক্ষেত্রের প্রতিটি এলাকায় মাইক দিয়ে প্রচার করে দিব্যাঙ্গদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় ন্যায় ও সশক্তিকরণ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন যাতে এইসব মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অনুমোদন পেয়ে তিনি গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার তার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের পুয়াবাগান, খাতড়া, তালডাংরা, ছাতনা, গঙ্গাজলঘাঁটি ও তার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রঘুনাথপুরে মোট ৬টি জায়গায় শিবির করে তা বিলি করেন। শিবির গুলিতে তার সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি।
সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করার জন্য বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প উপভোক্তাদের কাছে সময় মত পৌঁছানো যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, এই কারণে কৃষক সম্মান নিধি এরাজ্যের কৃষকরা দেরিতে পেয়েছেন। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, আয়ুষ্মান ভারত প্রভৃতি প্রকল্পের উল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর দাবি, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী যদি রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা করে বসে থাকতেন তাহলে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষরাও বঞ্চিত থেকে যেতেন। এই শিবির গুলি থেকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের ১৪০৪ জনকে ২৩৪৮টি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রাই সাইকেল, হুইল চেয়ার, শ্রবণযন্ত্র, কৃত্রিম পা, ডিজিটাল ওয়াকিং স্টিক ইত্যাদি।