বুধবার ‘বীরাষ্টমী ব্রত’ পালনের ডাক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের

আমাদের ভারত, ৩ অক্টোবর: ৫ অক্টোবর বীরাষ্টমী ব্রত পালনের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট। এই সঙ্গে ১০ অক্টোবর পরবর্তী কর্মসূচি হিসাবে পালন করা হবে ‘কলঙ্কজনক নোয়াখালি দিবস’। ‘হালাল অর্থনীতি’-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একের পর এক ‘সনাতনী উদ্যোগপতি’ সৃষ্টি করার ডাকও দিয়েছে ওই সংগঠন।

সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল বলেছেন, “বুধবার হবে সস্ত্র পূজা।” এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আব্দুল বারীক বিশ্বাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট বড় চোরকে সিআইডি তদন্ত করে গ্রেফতার করে নিরাপদ আশ্রয়ে ঢোকাতে যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, তা আজ আদালতের রায়ে মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে।যদিও দু কানকাটা রাজ্য সরকার আমাদের করের টাকা খরচ করে বিগত দিনের ন্যায় আবারো এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। কিন্তু সিআইডি যে রাজ্য সরকারের ব্যাপক চুরি, জোচ্চুরি, খুন, সন্ত্রাস ইত্যাদির কাজ করে থাকে তা বারবার কোর্টের রায়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত।

পরিস্কার করে আদালত জানিয়ে দিয়েছে কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই তদন্ত যেহেতু কোর্টের রায়ে চলছে, তাই সিআইডির সমান্তরাল তদন্ত করার প্রয়োজন নেই। আসলে এই রাজ্যের পুলিশ বা ওদের মাধ্যমে সিআইডির তদন্ত কখনো অপরাধী ধরার লক্ষ্যে কাজ করে না। বরং তাদের কাজই একটা অপরাধমূলক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওরা প্রতি ক্ষেত্রেই বেআইনি কাজ করে থাকে।

পুলিশের কাজ কখনো বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচিতে যাতে লোক আসতে না পারে তা দেখা নয়, এমনকি রেলের এলাকার মধ্যে পুলিশ ঢোকার এক্তিয়ার না থাকা সত্ত্বেও তারা সেখানে ঢুকে রেলযাত্রীদের ওপর যে হামলা করেছেন তা দেখে এদের দুষ্কৃতীকারী বলেই মনে হয়। ঠিক যেমন একজন নেতা যখন কাউকে বলে গাঁজা মামলা দিয়ে দাও, তখন পুলিশের উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, কিন্তু পুলিশ তা করেননি।

এছাড়া পুলিশের প্রত্যক্ষ ঘুষ নেওয়ার ছবি আজ বাংলার আমজনতার সর্বত্র দৃশ্যত, আসলে এই রাজ্যের সরকারকে দেখলে কখনো মনে হবে না, এটা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্গত একটি অঙ্গ রাজ্যের নির্বাচিত সরকার। এ যেন আফগানিস্থানের তালিবানি সরকার চলছে, আর তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা এক একটা তালিবানি সৈন্য। কিন্তু ওরা ভুলে গেছে এটা পশ্চিমবঙ্গ। এটা আফগানিস্থান নয়।

এখানে ৮০০ বছর ধরেও হিন্দু শূন্য করা যায়নি, যা পৃথিবীর বহু দেশে সম্ভব হয়েছে। তাই দুবাইয়ের জামাই যেন মনে না করে, যে তার পুলিশকে দিয়ে জোর করে হালাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এই বাংলাকে হিন্দু শূন্য করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলবেন। আজকে নিয়োগ দুর্নীতিই হোক, বা গরু পাচারই হোক বা কয়লা, বালি, ইত্যাদির চুরিই হোক এগুলোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে, এই রাজ্যের বুকে তালিবানী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

আদালতই এখন একমাত্র ভরসা, বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির পর বিশ্বজিত বসু, একের পর এক বিচারপতি এর পর এগিয়ে আসবেন এই লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এতেই তালিবানী সরকারের পতন আসবে বলেই বিশ্বাস। পুলিশকে কপালে গুলি করার বিধান দেওয়া ভাইপোর বিরুদ্ধেও বিরোধী নেতাকে আজ আদালতে যেতে হয়েছে।

শুধু ধান্দাবাজি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ না থেকে, এই হালাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একের পর এক সনাতনী উদ্যোগপতি সৃষ্টি করতে হবে। এর জন্য শুরু হয়েছে সমবায় আন্দোলন, এছাড়া মন্দিরমুখী আন্দোলন অব্যাহত। চালিয়ে যেতে হবে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে উপযুক্ত ভবিষ্যত তৈরির বার্তা দেওয়া। জাগো হিন্দু জাগো।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *