
আমাদের ভারত,৬ ডিসেম্বর:একের পর এক পাঁচ জন নরপিসাচ তাকে ধর্ষণ করেছিল।ছিড়ে খুড়ে খেয়ে ছিল তার শরীর। যন্ত্রণায় পাথর হয়ে যাওয়া শরীর আর মন নিয়ে তবুও লড়াইটা চালিয়েছিল সে। উন্নাওয়ের সেই ধর্ষিতা গর্জে উঠেছিল অপরাধীদের যোগ্য শাস্তির দাবিতে। আজ হয়তো সেই কারণেই তার ভয়ংকর পরিণতি হলো। আবারও এক চূড়ান্ত নৃশংসতার সাক্ষী রইল ভারতবর্ষ। লজ্জায় মাথা নত হলো দেশবাসীর। উন্নাওয়ের সেই ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলো তাকে ধর্ষণে অভিযুক্তরা। কারণ আইনের ফাঁক গলেজামিনে মুক্তি পেয়েছে সেই ধর্ষকরা।
উত্তর প্রদেশের উন্নাও-এ গত মার্চে পাঁচজন মিলে এক ২৩ বছরের তরুণীর গণধর্ষণ করেছিল। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি দুজন এখনো ফেরার। কিন্তু গত সপ্তাহে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। আর ছাড়া পেয়েই প্রতিশোধ নিতে তরুণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ছক কষে ফেলে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে সেই ধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য তরুণী যখন আদালতের যাচ্ছিল তখনই তার রাস্তা আটকায় পাঁচজন। রেল গেটের কাছ থেকে তরুণীকে তারা টেনেহিঁচড়ে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তরুনীর চিৎকারে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষ। খবর যায় পুলিশে। কোনক্রমেই ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে অবশ্য তার শরীরের বেশির ভাগ পুড়ে গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর তরুণীকে যারা পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল সেই পাঁচজনের তিনজন ধর্ষণে অভিযুক্ত। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা তরুনীর খোঁজে গ্রামের পাশে ঘুরছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে তারা নির্যাতিতার পিছু করে।রেল গেটের কাছে নির্জন জায়গা দেখে সেখানেই তার ওপর আক্রমণ চালায় তারা।
মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে ওই তরুণী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।চিকিৎসার জন্য তাকে লখনৌতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে আক্রান্ত তরুণী যাদের নাম বলেছে তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।