স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১০ অক্টোবর: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার এলেঙ্গা গ্রামে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই গৃহবধূকে। মৃতার নাম নার্গিস বেগম (২৩)। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন তার স্বামী নিজামুদ্দিনকে ধরে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিনবছর আগে রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের শঙ্করপুরের বাসিন্দা নার্গিস বেগমের সাথে বিয়ে হয় গৌরী গ্রামপঞ্চায়েতের এলেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিনের। বিয়ের পর জানা যায়, নার্গিসের স্বামী নিজামুদ্দিন কিছুই করেন না। শ্বশুরমশাই সংসার চালান। বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নার্গিসের উপর চাপ দিত। চলত মারধর এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরমধ্যে শ্বশুর একদিন ব্যাপক মারধর করায় ঘটনা জানতে পারেন নার্গিসের বাপের বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালে বাড়ির পাশে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় গৃহবধূ নার্গিস বেগমের।
মৃতা গৃহবধূ নার্গিসের কাকা আমজাদ আলি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ভাইঝিকে শ্বশুবরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জামাই নিজামুদ্দিনকে ধরে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি আমরা। পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় নার্গিসকে খুন করে মেরে ফেলা হয়েছে এমন অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।