রাষ্ট্রপুঞ্জেও মুখ পুড়লো চিন-পাকিস্তানের! আমেরিকা জার্মানির মোক্ষম চালে আটকে গেল ভারত বিরোধী পদক্ষেপ

আমাদের ভারত, ২ জুলাই: দিন তিনেক আগে পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা হয়। এই ঘটনার পেছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল পাকিস্তান। আর তাতে সায় দিয়েছিল চিন। কিন্তু এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা আমেরিকা ও জার্মানির মোক্ষম চালে আটকে গেছে। ফলে বিশ্ব দরবারেও মুখ পুড়েছে চিন ও পাকিস্তানের।

পাকিস্তানের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পেশ করেছিল চিন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে প্রথমে জার্মানি ও পরে আমেরিকার হস্তক্ষেপে জটিলতা তৈরি হয়। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে পাকিস্তান চিনের প্রস্তাবে হস্তক্ষেপ করে আসলে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা ও জার্মানি।

২৯ জুন পাক স্টক এক্সচেঞ্জের জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এই হামলার ঘটনার নিন্দা প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করে পাকিস্তান। এই প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করেছিল চিন। প্রস্তাবে বলা ছিল সন্ত্রাসবাদি হানার চক্রান্তকারী, হামলাকারী, অর্থ সাহায্যকারী এবং পৃষ্ঠপোষকদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে সব সদস্যের সক্রিয় সহযোগিতা চায় পাকিস্তান। সব সদস্যরা যেনো পাক সরকারকে এই বিষয়ে সাহায্য করে।

পাকিস্তানের হয়ে এই প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদের পেশ করেছিল চিন। কিন্তু এ প্রস্তাবে হস্তক্ষেপ করে জার্মানি ও আমেরিকা। ভারতের সীমান্তে উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে চিন ও আমেরিকার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। একদিকে জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লংঘন করে মাঝেমধ্যেই গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। অন্যদিকে গালওয়ান উপত্যাকায় চিনা আগ্রাসন।এই পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী দুই প্রতিবেশীর প্রস্তাব আমেরিকা ও জার্মানির হাত ধরছ পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ কার্যত ভারতের অবস্থানকে সমর্থন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ভারত বিরোধী নিন্দা প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জে আটকে দিয়েছে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোনো প্রস্তাব পেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপত্তি না জানালে তা গৃহীত হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপত্তি জানায় জার্মানি। এরপর আপত্তি জানায় আমেরিকাও। এই দুই দেশের এই পদক্ষেপ আসলে ভারতের হাত শক্ত করবে বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *