পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর ভোট আসলেই রাজনৈতিক নেতাদের জনদরদী সাজার ধুম লেগে যায়। সাধারণ ভোটারদের ভোট পাওয়ার জন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে চলে নানা উপঢৌকন দেওয়া হয়। আর শাসক দল হলে তো কোনো কথাই নেই। সম্প্রতি তৃণমূল মন্ত্রীর দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। তাই আদিবাসীদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তফসিলি জাতি, উপজাতি ভোট ফিরে পেতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
তাই তফসিলি জাতি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জোর দিয়েছে তৃণমূল। ডেবরা ব্লকের ৬নং জালমিন্ডা অঞ্চলে রাজ্য সরকারের “চোখের আলো” প্রকল্পের আওতায় প্রায় হাজার খানেক তফসিলি জাতি উপজাতি মানুষের চক্ষু পরীক্ষা করা হল। এই চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে যাদের অপারেশন বা চশমার প্রয়োজন হবে তাদের সপ্তাহখানেক বাদে অপারেশন বা চশমা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। এই শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মান্ডি।
পাশাপাশি ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ৬ টি আদিবাসী দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধামসা মাদল। আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতিকে বজায় রাখার জন্য এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডেবরা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কনিকা মাণ্ডি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী মুড়া, সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য। এখানে উল্লেখ্য যে ডেবরা ব্লকে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট তফসিলি ও উপজাতির। ফলে এই ভোট ফিরে পেতে উৎসুক রাজনৈতিক দলগুলো।