সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১০ জুন: ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বাগদা-দত্তফুলিয়া রোড অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয় কারা ত্রাণ পেয়েছে বা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাঁর তালিকা চেয়ে প্রধানকে আটকে রেখে পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে বসেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানার তৃণমূল পরিচালিত রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে।
আমফান ঝড়ের পরে সাধারণ গ্রামবাসীরা ত্রিপল ও ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাঁর তালিকা চেয়ে পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে ও রাস্তা অবরোধ করে রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, আমফানের পর ২১ দিন কেটে গেলও ক্ষতিগ্রস্তদের মেলেনি ত্রিপল ও ক্ষতিপূরণের টাকা। অথচ যাদের কোনও ক্ষতি হয়নি তারা দুটো তিনটে করে ত্রিপল পেয়েছে। এমনকি ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাঁর তালিকা জানাচ্ছেন না প্রধান। তালিকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে আটকে রেখে গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং বাগদা-দত্তপুলিয়া সড়ক অবরোধ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গ্রামবাসীরা বৈঠকে বসেন। প্রধানের আশ্বাসে পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা খুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ত্রাণের ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। অথচ সেই সব বাড়িতে কোনও ক্ষতি হয়নি। অন্য দিকে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা এখনও খোলা আকাশের নিচে তাদের কোনও সাহায্য করেনি প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধান গণেশ রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চারজনের কমিটি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার মুখে আন্দোলনকারীরা তাকে পঞ্চায়েতের মধ্যে আটকে রেখে গেটে তালা দিয়ে দেয়। দুই এক দিনের মধ্যে সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে তালিকা দেওয়া হবে।