অমরজিৎ দে, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২১ জানুয়ারি: মেদিনীপুর বনবিভাগের অন্তর্গত ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় রেঞ্জের কুমিরকাতার জঙ্গলে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ মঙ্গলবার প্রথম দেখা গিয়েছিল। কুমিরপাতার জঙ্গলের পর আজ কৌনাবালিতে অজানা জন্তুর আক্রমে গবাদি পুশু। গবাদি পশুর আধ খাওয়া দেহ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হুয়ে পড়েন ওই এলাকার মানুষজন।
বেশ কিছু দিন ধরে একই ধরনের অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ কুমিরকাতার জঙ্গলে ও কন্যবালির জঙ্গলেবদেখতে পায় গ্রামবাসীরা। অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ার ফলে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকায়। শুক্রবার জঙ্গলে কাঠ আনতে গিয়ে দুটি অজানা জন্তু দেখেন বিমলা মাহত। যার গায়ে ছোপ ছোপ দাগ ছিল।ঘটনার খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা ফের অজানা জন্তুর আক্রমনে মৃত ছাগলের ক্ষত বিক্ষত দেহর অবশেষাংশ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের সচেতন থাকার জন্য জানানো হয়।যার ফলে ওই এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার থেকে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এই ঘটনার পর গ্রামের মানুষ গরু, ছাগল কেউ জঙ্গলে চরাতে নিয়ে যেতে চাইছে না, যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা।
২০১৮ সালে একইভাবে প্রথমে বনদপ্তর বাঘের কথা অস্বীকার করেছিল। পরে বলেছিল নেকড়ে। তারপরে সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ উদ্ধার হয় মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাঘঘরার জঙ্গলে। তাদের আশঙ্কা ওই পায়ের ছাপ আসলে বাঘের। বন দফতরের পক্ষ থেকে অযথা জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে।