(ছবি-বাঁ দিকে ড: সুরেন্দ্র জৈন, সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ)
চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ২৬ এপ্রিল: পালঘর হত্যাকাণ্ডের পিছনে বামেদের হাত রয়েছে। শুধু পালঘরই নয়, ঝাড়খণ্ড থেকে দেশের অন্যত্রও সন্ন্যাসীদের ওপর হামলা হয়েছে। এই সব হামলার পিছনে বামপন্থীদেরই হাত রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বের। এই ব্যাপারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করছেন, পালঘরের হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বামপন্থী ও তাদের মনিব জাহাদিদের চক্রান্তের ফল।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বের অভিযোগ, দেশের যেখানেই সন্ন্যাসীদের ওপর হামলা হয়েছে, প্রতিবারই বামপন্থীরা সেই সব হামলার কারণ হিসাবে শিশুচুরির গুজবকেই দায়ী করেছে। এর আগে কলকাতায় বিজন সেতুর ওপর আনন্দমার্গী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। সেই সময়ও আনন্দমার্গীদের হত্যার পিছনে শিশুচুরির গুজবকেই দায়ী করেছিল বামপন্থীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বের অভিযোগ, কোনও মৌলবি অথবা পাদরি গ্রামে গেলে বামেরা এইসব শিশুচুরির অভিযোগ তোলে না। কেবল, হিন্দু সন্ন্যাসীদের দেখলেই তারা শত্রু বলে মনে করে। আর বিধর্মীর মতো তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে সামিল হয়।
যদিও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বের এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বামেরা। এই ব্যাপারে সিপিএম অনুমোদিত সর্বভারতীয় কৃষক সভার সভাপতি ড. অশোক ধাওয়ালে টুইট করেছেন, ‘সম্বিত পাত্র ও সুনীল দেওধর শুধুমাত্র এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িকীকরণ করছেন তাই নয়, মিথ্যে বলছেন। যেখানে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, সেই গড়চিঞ্চোলি গ্রামের সরপঞ্চের নাম চিত্রা চৌধুরী এবং তিনি বিজেপির নেত্রী।’ একই কথা বলেছেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতরাম ইয়েচুরিও।
তবে, এই সব কথা শুনতে নারাজ সন্ন্যাসীদের সংগঠন আখড়া পরিষদ। বিভিন্ন আখড়াগুলোর মধ্যে জুনা আখড়াই সবচেয়ে প্রভাবশালী। এই ব্যাপারে আখড়া পরিষদ মিলিতভাবে লকডাউন উঠলেই ‘পালঘর চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছে।