পালঘরে সন্ন্যাসীদের হত্যায় আজ শোকদিবস পালন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৮ এপ্রিল: মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সন্ন্যাসী হত্যার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে শোকদিবস পালন করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দুধর্ম আচার্য সভা। মহারাষ্ট্রে দাদরা নগর হাভেলি সীমান্তের পালঘর জেলায় ১৬ এপ্রিল গণপ্রহারে সত্তরোর্ধ্ব সন্ন্যাসী কল্পবৃক্ষ গিরি মহারাজ, যুবক সন্ন্যাসী সুশীল গিরি মহারাজ ও তাঁদের গাড়িচালক নীলেশ তোলপাড়ে গণপ্রহারে প্রাণ হারান। তাঁরা থানায় আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন। কিন্ত, তাঁদের বাঁচানোর বদলে স্থানীয় থানার পুলিশ সন্ন্যাসীদের থানার বাইরে ধরে এনে নিগ্রহকারীদের হাতে তুলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। চুপ করে গণপ্রহারে এই নির্মম হত্যার সাক্ষী হয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আজ এই শোকদিবস পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

আজ ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা অর্ধদিবস উপবাস পালন করছেন। পাশাপাশি, পাঁচ জন প্রতিবেশীকে আহার করানো এবং নিহত সন্ন্যাসী ও তাঁদের গাড়িচালকের স্মরণে তাঁদের ফোটোর সামনে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্যতম নেতা সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ আদি শংকরাচার্যের জন্মদিবস। সেকথা মাথায় রেখে এই দিনে শোকদিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কারণ, নিহত দুই সন্ন্যাসী শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত দশনামী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত গিরি সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।’

আজ দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা পালঘর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় জেলাশাসকদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিকে লেখা সেই স্মারকলিপিতে পালঘর হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা চান মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক। গণতান্ত্রিক দেশে সেটাই রীতি। কিন্তু, সরকার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দোষীদের সাজার ব্যবস্থা না-করলে আখড়া পরিষদের সিদ্ধান্ত মানা ছাড়া উপায় থাকবে না। সেক্ষেত্রে একটাই সিদ্ধান্ত হবে। লকডাউন উঠলেই, ‘পালঘর চলো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *