ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া পাখিদের বাঁচাতে কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৬ জুন: গ্রামবাংলায় ভোরের আলো ফুটতেই পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত ঘরের গৃহস্থের। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, এ দৃশ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তেমনই পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে নানা কারণে। প্রবল ঝড় আমফানে ভেঙ্গেছে গাছপালা থেকে বাড়িঘর। লণ্ডভণ্ড হয়েছে রকমারি গাছগাছালি। উড়ে গিয়েছে পাখিদের তিলে তিলে তৈরি করা বাসা বা বাসস্থান। দিশেহারা পাখিগুলি একপ্রকার ছন্নছাড়া। কোথায় যাবে, কোথায় বাসা বাঁধবে, এই ভেবে দিশেহারা তাঁরা। নীর হারা পাখিদের বাসা বাধতে এগিয়ে এল উত্তর ২৪ পরগণার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলাবাহুল্য, এর আগেও মানুষের জন্য বিগত ১০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে চলেছে এই সংগঠন। এবার একটু ভিন্ন রকম কাজ করতে দেখা গেল সংগঠনকে। পাখির কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরী করতে মাটির হাঁড়ির ভিতর বিচুলি দিয়ে গড়ে তোলা হয় কৃত্রিম পাখির বাসা। তেমনি হাঁড়ির মধ্যে দেয়া হয় রকমারি খাবার। বৃষ্টিতে পাখির বাসায় জল ঢুকতে পারে, এই ভেবে উপরে যেমন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় হাড়িতে, তেমনি জল যাতে হাঁড়ির মধ্যে না ঢোকে তার জন্য নিচে করে দেওয়া হয় ছিদ্র। দেওয়া হয় পর্যাপ্ত খাবারও। এরপর বাসুই কাঁধে নিয়ে ছুটতে দেখা গেল সংগঠনের সদস্যদের।

এদিন হাবড়ার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেল গাছে হাড়ি বাঁধার দৃশ্য। হাবড়া গৌড়বঙ্গ রোডের পাশে থাকা অশত্থ গাছ, আম গাছ, কুল গাছ থেকে শুরু করে নিম গাছেও হাঁড়ি বাঁধা হয়। টুনিঘাটা, রুদ্রপুর, সংহতি, ঘোজের মাঠেও হাড়ি বাঁধা হয় পাখিদের কথা মাথায় রেখে।

সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব কাঞ্জিলাল জানান, সম্প্রতি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি পাখিদের বাসা ভেঙ্গে তথনচ হয়েছে। নতুন করে কোথায় বাসা বাঁধবে, কি ভাবে বাঁধবে তারা এক প্রকার দিশেহারা। তাছাড়া পরিবেশ বাঁচাতে পাখিদেরও প্রয়োজন। একের পরে এক স্যাঁতস্যাঁতে গাছে উঠে পাখিদের কৃত্তিম বাসা তৈরি করা হয়। যা দেখে খুশি এলাকার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *