সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ জুন: “পশ্চিমবঙ্গে ভোট লুঠ, ত্রিপুরাতে হেরে ভুত”, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এক কর্মিসভায় এসে শাসক দলের উদ্দেশ্যে এমনই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পাহাড়ে জিটিএকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, পাহাড়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যাবস্থা করতে হবে।
আজ আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, যুবরাজনগর, সুরমা – এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ বলেছেন, বিজেপি অবাধে সন্ত্রাস চালিয়েছে, ছাপ্পা ভোট হয়েছে। সকলে মিলে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। এ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন নেই তাই তাদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুকান্তবাবু বলেন, মহারাষ্টে হাসজাড়ু সরকার চলছে। সেখানে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট করেছে। আগামী দিনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, এরাজ্যের সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
আর কুণাল ঘোষে কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কে করছেন? তৃণমূল কংগ্রেসের স্বনামধন্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, তিনি কে? না একজন জেল খাটা আসামি। এই কুণাল ঘোষ দু’বছর আগে বলেছেন, সারদা চিটফান্ড কান্ডে সব থেকে সুবিধা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নাকি সারদার টাকা রাখা আছে। এই কুণাল ঘোষ আর সেই কুণাল ঘোষ কোন কুণাল ঘোষ আসল আগে সেটা ঠিক করুন। এই সব নেতাদের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। যিনি এখন এক কথা বলেন, দুবছর আগে অন্য কথা বলেছিলেন। এমনিতেই তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের কর্মীরা ভোট প্রচারে নামতে পারছে না।