“হিন্দু শরনার্থী ও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর উল্লেখ্য ছিল নেহেরুর চিঠিতেও, তিনিও কি তাহলে সাম্প্রদায়িক ” প্রশ্ন মোদীর

আমাদের ভারত,৬ ফেব্রুয়ারি:লোকসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। সেই আইনে বলা হয়েছে পাকিস্তান আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ভারতে।কেন এই আইনে মুসলিমদের নাম নেই তার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে বিরোধীরা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারবার তারা বিভেদকারীর অভিযোগ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার সংসদ এই বিভেদকারী অভিযোগের পাল্টা দিতে গিয়ে একবারে নেহেরুকে টেনে আনেনপ্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেন নেহেরুর এক চিঠির। যেখানে নেহেরু লিখেছেন,”হিন্দু শরণার্থী ও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে তফাৎটা বুঝতে হবে”।

পিছে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে, জহরলাল নেহেরুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া, দেশভাগ, ৭৫-র জরুরি অবস্থা,১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গার মতো একের পর এক ঘটনাকে এদিন টেনে এনে বিরোধিদের নিশানা করেন মোদী। উল্লেখ করেন নেহেরু জামানায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিন মোদী বলেন শুধুমাত্র একজনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাতেই দেশের মানচিত্রে একটা লাইন টেনে দেশকে দু’ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশভাগের পর হিন্দু, শিখও অন্যান্য ধর্মের মানুষ যেভাবে অত্যাচারিত হয়েছে তা কল্পনার অতীত।

১৯৫০ এর নেহেরু-লিয়াকত চুক্তির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কোন বিভেদ মূলক আচরণ যেন না করা হয়। মোদী প্রশ্ন তোলেন নেহেরুর মত একজন নিরপেক্ষ মানুষ কেন সংখ্যালঘুদের কথা বললেন? কেন সমস্ত সাধারণ নাগরিকদের কথা বললেন না?তার পিছনে নিশ্চয়ই কিছু কারণ ছিল। তিনি বলেন, কেন নেহরু সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছিলেন?

মোদী উল্লেখ করেন অসমের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা নেহেরুর একটি চিঠির কথা। সেখানে নেহেরু লিখেছিলেন, “হিন্দু শরণার্থী আর মুসলিম শরণার্থীদের মধ্যে আপনাকে তফাৎ করতে হবে”।

মোদী বলেন, লোকসভা। দাঁড়িয়ে নেহেরু বলেছিলেন যে সব মানুষ আক্রান্ত হয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত আইন যদি উপযোগী না হয় তাহলে তা বদলানো দরকার।তথ্য দিয়ে মোদি বলেন ১৯৫৩ নেহেরু বলেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে দেশ ছাড়ার জন্য হিন্দুদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই তথ্য তুলে ধরে মোদী প্রশ্ন ছুড়ে দেন নেহেরু কি তাহলে সাম্প্রদায়িক ছিলেন? আমি জানতে চাই তিনিও কি হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছিলেন? তিনিও কি হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়ে ছিলেন?

একই সঙ্গে শিখ দাঙ্গায় অভিযুক্ত কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার জন্যেও সমালোচনা করেন মোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *