আমাদের ভারত, ১৮ জুন: টানা ৩ দিন ধরে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলছে। তার মধ্যেই আগামী ১৯ তারিখ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা এবং পশ্চিমের দুটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ ও রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে কমলা এবং হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
উত্তরপ্রদেশের যে নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়েছে তার জলীয়বাষ্প পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়েও বইছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগে থেকে পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে দক্ষিন-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপের একটি অক্ষরেখা ছিলই। যার জন্য গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ঘূর্নাবর্ত তৈরী হয়েছে। ফলে দুটি ঘূর্নাবর্তের জেরেই রাজ্যে এই একটানা বৃষ্টি। আবার এর জেরেই শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন জেলা। নদীতে জলস্ফীতি দেখা গেছে, তৈরী হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
কলকাতা, আসানসোল সহ রাজ্যে বিভিন্ন শহরাঞ্চলের মানুষ ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক এলাকা।
গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে কলকাতার বহু এলাকা। দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার। কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউ, সুকিয়া স্ট্রিট, বর্ধমান রোড, কে সি সেন স্ট্রিট, সাহাপুর রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে ব্যাহত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। বিকল হয়েছে বহু গাড়ি। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার সারাদিন কর্পোরেশনের পাম্প চালিয়ে সেই জল বের করার কাজ চলেছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করে আসানসোলের নরসমুদা কয়লা খনিতে। টানা বৃষ্টির কারনে জলস্রোত তীব্র হয়ে কয়লা খনিতে প্রবেশ করে। দ্রুত খনির কর্মীদের সেখান থেকে বের করার ব্যবস্থা করায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।