বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দিতেই হবে, রাজ্যের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে নির্দেশ স্যাটের

রাজেন রায়, কলকাতা, ৮ জুলাই: আদালত বারবার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার তাঁর কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা মেটায়নি। সেই কারণেই ফের আদালতে মামলা করে কর্মী সংগঠনগুলি। ওদিকে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ৩ মার্চ সেই আবেদনের শুনানি শেষ হয়। কিন্তু বুধবার বেরোনো স্যাটের রায়ে উলটে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকেই।

রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। এদিন স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও প্রশাসনের প্রতিনিধি সুবেশকুমার দাস রায়ে জানিয়েছেন, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দিতেই হবে রাজ্য সরকারকে। তবে সরকারকে সাময়িক স্বস্তি দিয়ে স্যাটের রায়ে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বকেয়া ডিএ দেওয়া সম্ভব না হলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। ফলে রাজ্যের বিরুদ্ধে রায় হলেও আপাতত স্বস্তিতে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট। কিন্তু রাজ্য সরকার বকেয়া মেটায়নি বলে অভিযোগ।
২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, মহার্ঘ্য ভাতা কর্মচারীদের অধিকার। সরকার দয়া করে মহার্ঘ্য ভাতা দেয় না। বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার পরিমাণ ২১ শতাংশ। রাজ্য সরকারকে সেই মহার্ঘ্য ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে।

প্রসঙ্গত এর আগের রায়ে সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুযায়ী কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। সেই সময়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন মাস পেরোলেও রাজ্য সরকার কর্মচারীদের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর ফলে ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা ২১ শতাংশে পৌঁছয় বলে দাবি বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের। সেই কারণেই এর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্মচারী সংগঠনগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *