আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৯ জানুয়ারি: হাতি তাড়ানোর সময় হুলার আগুনে ঝলসে গেল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। নাম তুহিন মাহাতো। বাড়ি গোয়ালতোড় ব্লকের ধরমপুর গ্রামে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়ালতোড় রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
জানাগেছে, চার পাঁচ দিন ধরে গোয়ালতোড়ের ধরমপুর, কদমডিহা, দেবগ্রাম, শাঁখাভাঙ্গা এলাকায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি হাতি দাপিয়ে বেড়ালেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতিগুলোকে তাড়ানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে এলাকার আলু সহ সমস্ত রকম শীতকালীন শাকসবজি খেয়ে সাবাড় করছে হাতির পাল। এমনকি মাঝেমধ্যে গ্রামে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করছে। বনদপ্তরের উদাসীনতার কারণে ফসল ঘরবাড়ি রক্ষায় নিজেরাই হাতি তাড়াচ্ছে গ্রামবাসীরা। শুক্রবার রাতে হাতি তাড়ানোর সময় গ্রামবাসীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র তুহিন মাহাতো। হাতি তাড়ানোর সময় একটি হাতি তুহিনের দিকে ছুটে আসছে দেখে এক ব্যক্তি হাতিটিকে লক্ষ্য করে একটি বড় মাপের জ্বলন্ত হুলা ছোড়ে। হুলার আগুন দেখে হাতিটি থমকে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় হুলাটি গিয়ে লাগে তুহিনের গায়ে। শীতের পোশাক গায়ে থাকায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। তাতেই ঝলসে যায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি। তাকে সঙ্গে সঙ্গে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।