আমাদের ভারত,৯ জুলাই:আমেরিকা ও চিনের ঠান্ডা যুদ্ধের পারদ উর্দ্ধমুখী। আর আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেই ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তাপ আরো বাড়তে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ডেইলি ম্যাকন্যিনির কথায়। বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিনের বিরুদ্ধে আরও বড় কিছু পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে আমেরিকা বলে জানান তিনি। তবে সেই পদক্ষেপ কি তা তিনি জানাননি। প্রেসসচিব শুধু জানিয়েছেন,” আমরা চিনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করতে চলেছি তা প্রেসিডেন্টের আগে আমি ঘোষণা করবো না। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই আপনারা চিনের বিরুদ্ধে নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানতে পারবেন,এ বিষয়ে সকলেই নিশ্চিত থাকতে পারেন।”
চিনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ানও। তার দাবি চিনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন এর আগে কোন প্রেসিডেন্ট করেননি। ট্রাম্প প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি যিনি আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চিনের পণ্যের ওপর বড় মাপের শুল্ক চাপিয়েছেন।
প্রথম থেকেই চিনের একতরফা বাণিজ্য ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধিতায় সরব থেকেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প। চিনা পণ্যের উপর চড়া আমদানি শুল্ক বসিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের জন্য সরাসরি চিনকে দায়ী করেছেন তিনি। এমনকি চিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যপদও ছেড়েছেন।
তবে সম্প্রতি লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন উত্তেজনার সময় থেকে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে রুখে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। গালওয়ানে আগ্রাসনের জন্য সরাসরি চিনকে দায়ী করে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, ভারত চিনকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
কিন্তু ভারতের পর আমেরিকার কড়া পদক্ষেপের আঁচ পেয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা শুরু করেছে বেজিং। বৃহস্পতিবার চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “চিন-মার্কিন নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনো চিন মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি চাই। কিন্তু কিছু মার্কিন বন্ধু হয়তো চিনের অগ্রগতি দেখে উদ্বিগ্ন। তাই আমি বলতে চাই, চিন কখনো আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করতে বা বিশ্বমঞ্চে আমেরিকার জায়গা দখল করতে চাইনি। আমরা শুধুমাত্র দেশবাসীর উন্নতিতে আগ্রহী”।